<p>ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন  আদালত। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসতে হাসতে আদালত প্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। কিন্তু রায় ঘোষণার সময় মোটেই সেই পরিস্থিতি ছিল না।</p> <p>বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। রায়ে আপিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।</p> <p>রায়ের আগে অধ্যক্ষ সিরাজকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেলেও রায় ঘোষণার পর অবশ্য তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে দেখা যায়।</p> <p>সকালে অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। প্রিজনভ্যান থেকে নামার সময় তিনি হাসছিলেন। হাসতে হাসতে তিনি আদালতের এজলাসে যান।</p> <p>আদালতে ১৬ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে কাঁদতে শুরু করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। রায়ের পর যখন তিনিসহ সব আসামিকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়, তখনো তাদের কান্না থামেনি।</p> <p>মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।</p>