পানছড়ির পানে প্রাণ

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)
শেয়ার
পানছড়ির পানে প্রাণ
পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সপ্তাহে তিনদিন জমে ওঠে পানের হাট। ছবি : কালের কণ্ঠ

এককালে পানছড়িতে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি পান উৎপাদন হতো। এলাকাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে এই পান নদীপথে যেত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে পানছড়ির কৃষকরা পান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতেন বলে এই এলাকার নামকরণ হয় ‘পানছড়ি’। কিন্তু ধীরে ধীরে পানচাষিদের অনাগ্রহের কারণে পানের ঐতিহ্য বিলীন হতে চলছিল।

তবে সাম্প্রতিককালে পানের উৎপাদন আবারও কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় সপ্তাহে তিন দিন জমে ওঠে পানের হাট।

কৃষকরা জানান, সপ্তাহের শনি, রবি ও বুধবার তিরপাবিল, করল্যাছড়ি, কানুনগোপাড়া ও রাঙাপানি এলাকায় জমে ওঠে এসব পান হাট। সাত সকালেই খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও হাটহাজারী থেকে বেপারিরা হাজির হয়ে যান পানের সন্ধানে।

যুবনাশ্বপাড়া, সেনাজিপাড়া, তাপিতাপাড়া, রাজকুমারপাড়া, বাইগ্যাপাড়া, জগেসনপাড়া এলাকার বরজ থেকে চাষিরা টমটম, সিএনজি, মাহেন্দ্র ও কেউ কেউ কাঁধে করে পান নিয়ে আসে হাটে।

করল্যাছড়ির তিরপাবিল এলাকায় পানের হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, তিন জায়গায় বসেছে পানের হাট। যুবনাশ্বপাড়া এলাকার পানচাষি বাডিধন চাকমা, বাইট্টা চাকমা, খর্গ পাড়ার উপেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, প্রতি বুধবার এখানে পান হাট বসে। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার পান বেচাকেনা হয় এখানে।

খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হাটহাজারী থেকে আসা ব্যবসায়ী মোমিন উল্লাহ, সাইফুল, এরশাদ উল্লাহ, প্রিয়তোষ দে জানান, তাঁরা বেশ কয়েক বছর ধরে পানছড়িতে পান ব্যবসায় জড়িত। এখান থেকে পান নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকেন তাঁরা। তবে এখানকার চাষিদের দাদন দিতে হয়। সারাবছর দাদনের মাধ্যমেই তাঁরা পান চাষ করেন।

কৃষকেরা জানান, বর্তমানে পানের বাজার দর বেশ ভালো।

এক বিড়া পান সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত আকারভেদে বেচা-কেনা হয়। মাঝে মধ্যে পানে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। যার মাঝে রয়েছে তেলপোকা রোগ, মাছের চোখ, ঝিনুকপচা, লেজপচা, জুমমারা, গোড়াপচা ইত্যাদি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়দত্ত চাকমা, পুরনো পান চাষি পূর্ণাঙ্গ জীবন চাকমা ও বিভূতি চাকমা জানান, চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। প্রশিক্ষণে পরামর্শ পেলেই নিজেরাই পানের রোগবালাই দূর করতে পারবেন।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মানস কান্তি ত্রিপুরা জানান, পান চাষিদের নিয়ে উঠান বৈঠক করার ব্যাপারে এলাকার কার্বারির সঙ্গে কথা বলে দিন তারিখ ঠিক করা হবে।

পানছড়ি কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। চাষির সংখ্যা ১০১২ জন। এক কানি বা চল্লিশ শতকে ২০ হাজার পানের আগা বা চারা লাগানো হয়। লাগানোর ৬/৭ মাস পর থেকে পান পাতা উত্তোলন শুরু হয়। রোগ বা পোকার আক্রমণ না হলে কানিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার বিড়া পান উৎপাদন সম্ভব। তবে পানে পোকার আক্রমণ খুব কম। ছত্রাকজনিত রোগের প্রকোপ রয়েছে। রোপণের আগে ছত্রাকনাশক দিয়ে আগা শোধন না করলে পরবর্তীতে রোগ প্রতিরোধ করা কঠিন। রোপণের আগে কৃষকেরা কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ নিলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া সহজ।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলাউদ্দিন শেখ জানান, পান চাষের জন্য এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া খুবই উপযোগী। পান চাষিদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আশা করা যাচ্ছে ভালো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকেরা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হবেন। ফলে সামনে পান চাষের পরিমাণ দ্বিগুণ করার ব্যাপারে কৃষি অফিস আন্তরিকভাবে কাজ করবে।

তাছাড়া পান চাষিরা যেকোনো সমস্যা নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের যথাযথ পরামর্শ প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, প্রবাসীর স্ত্রীকে জরিমানা

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, প্রবাসীর স্ত্রীকে জরিমানা

ফরিদপুর চরভদ্রাসনে অবৈধভাবে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অপরাধের সঙ্গে জড়িত মনিরা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ৪টার দিকে উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নে কানাইরটেক গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত ফারাবী। এসময় চরভদ্রাসন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরহাদ, ভূমি কার্যালয়ের সার্টিফিকেট পেশকার রাসেল মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় ভেকু মেশিনের ব্যাটারি ও যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরা বেগম উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের কানাইরটেক গ্রামের প্রবাসী মঞ্জু মৃধার স্ত্রী। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত ফারাবী বলেন, ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অপরাধের সঙ্গে মনিরা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কৃষি জমিতে যেন কেউ অবৈধভাবে মাটি কাটতে না পারে সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

নাটোরের সিংড়ায় ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে সাকিবুল হাসান স্বচ্ছ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিংড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সাকিবুল হাসান স্বচ্ছ খাজুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকের একটি রাজনৈতিক পোস্টের কমেন্ট সেকশনে মন্তব্য করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটুক্তি করেছে ওই ছাত্রলীগ নেতা।

এমন অভিযোগ উঠলে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা থানায় বিচার দাবি করেন এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, মহানবীকে কটুক্তির ঘটনায় একজনকে আটক করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

চট্টগ্রামে বাসায় ডেকে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে বাসায় ডেকে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মনজুর আহমেদ মঞ্জু (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণে সহযোগিতার করা অভিযোগে মঞ্জুর বন্ধু মো. সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি বলেন, রবিবার দুপুর ৩টার দিকে ভুক্তভোগী নারীকে পতেঙ্গা থানার হাদীপাড়া শাওনের ভাড়াঘর নিচতলায় ডেকে নিয়ে যায় সাইফুল। রুমে নিয়ে মো. সাইফুল তার বন্ধু মো. মনজুর আহমদের সঙ্গে ভিকটিম নারীকে পরিচয় করিয়া দেয়। পরে সাইফুল ভিকটিমকে রুমে বসার জন্য বলে নিজে বাসার বাইরে চলে যায়। এই সুযোগে মো. মনজুর আহমেদ নারীকে ধর্ষণ করেন।

পরে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মন্তব্য

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর
নিহত ইমরান হোসেন। ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের  স্বজনরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর চালায়।

এদিকে হাসপাতাল ভাঙচুর চলাকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। 

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিতে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন।

পরে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেনি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিল। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটিতে রেখেছিল। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয়নি। পরে নানা অজুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরও তারা মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ওষুধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ওষুধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই। এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর চালায়।

রোগীর মা নাজমা বেগম বলেন, ট্রমা হাসপাতালের ডা. আতাউর রহমান শুক্রবার সকাল ৮টায় আমার ছেলের অপারেশন করায়। মারা গেছে রবিবার বিকাল ৫টা বাজে, কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও তারা জানায়নি। রাতে আমরা মারা যাওয়ার খবর পাই। তারা মারা যাওয়ার পরেও ওষুধ আনতে বলেছিল আমাদের। আমরা রোগী মারা গেছে দাবি করার পর তারা ওষুধ ফেরত পাঠায়। এটা রাত ৯টার ঘটনা। ডাক্তারের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজী হয়নি। তারা আমার ছেলেকে অবহেলায় মেরে ফেলেছে। তারা কয়েক দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে টাকা নিয়েছে। কিন্তু একবারও বলেনি আমার ছেলে মারা গেছে।

রাতে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ