<p>কিশোরগঞ্জে চিকিৎসককে মারধর ও হুমকির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। </p> <p>এক বিবৃতিতে জাকিয়া নূর লিপি বলেন, রোগীদের সেবাদান অব্যাহত রাখার সময় গত ২৯ জুলাই কিশোরগঞ্জ পৌরসভার গাইটাল এলাকায় এক চিকিৎসককে মারধর ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে একজন সম্মানিত চিকিৎসকের উপর এরূপ কাপুরুষোচিত ও উদ্দেশ্যমূলক হামলা এবং লাঞ্চিত করার ঘটনা যেমন চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবাদানকারী মানুষের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে তেমনি তা দেশের আইন শৃংখলার প্রতিও হুমকি স্বরূপ।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘দেশের করোনা মহামারীর এ দুর্যোগকালীন সময়ে চিকিৎসকগণ যে ভুমিকা পালন করছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই চিকিৎসকগনই সম্মুখ যোদ্ধা। মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এরকম পরিস্থিতিতে চিকিৎসক সমাজের কোনো প্রতিনিধির উপর অনাকাঙ্খিত  হামলার ঘটনা সত্যিই অসহনীয় এবং বেদনাদায়ক।’</p> <p>অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় জড়িতদের আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে আমি ইতোমধ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি এবং প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রদান করেছি।’ মারধরের শিকার চিকিৎসকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞ্যাপন করেন লিপি।</p> <p>উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রোগীদের সেবাদান করার সময় সাদেক হোসেন শাকিল নামে এক চিকিৎসককে মারধর করে একদল দুর্বৃত্ত। দুপুরে শহরের নরসুন্দা রিভারভিউ ক্লিনিকে জরুরি অপারেশন শেষ করে বাসায় ফেরার পথে গাইটাল এলাকায় গাড়ির গতিপথ রোধ করে তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এ সময় রোগীদের সেবা বন্ধ ও ক্লিনিকে না যেতে হুমকিও দেয় দুর্বৃত্তরা।</p> <p>গত ২৫ এপ্রিল করোনা সনাক্ত হওয়া ডাক্তার মুক্তা সুলতানার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন শাকিল। এরই প্রেক্ষিতে সকলকে বাসা থেকে বের না হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে চিকিৎসার স্বার্থে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন ডা. শাকিল। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।</p>