<p>করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে চলছে অনলাইনে ক্লাস। শ্রেণিকক্ষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে অনলাইন ক্লাস। </p> <p>সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পরপরই এই প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মাধ্যমে ক্লাস নিতে শুরু করে। ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণির ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর প্রায় শতভাগ অংশ নিচ্ছে এ ক্লাসে। সাধারণ ছুটির নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের পড়াশোনা সক্রিয় রাখতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।</p> <p>প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদের নির্দেশনায় ও অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকরা অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত করে যাচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রæপে শিক্ষার্থীদের ¯^তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ক্লাসগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলছে। ভিডিও ক্লাস হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতেও ক্লাসের সময়ের বাইরে ক্লাসগুলো দেখতে পারছে। নিয়মিত বাড়ির কাজ ই-মেইলের মাধ্যমে জমা নিয়ে প্রয়োজনমত ফিডব্যাক দিচ্ছেন শিক্ষকরা।</p> <p>কোনো শিক্ষার্থী যাতে পিছিয়ে না পড়ে এজন্য অনলাইন ক্লাসগুলোতে তাদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সাল থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম বছরেই পিইসিই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ জিপিএ-৫ অর্জন করে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সমগ্র ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে একাডেমিক বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে।</p> <p>প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বলেন, আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখার পাশাপাশি বিতর্ক, সাধারণ জ্ঞান, মিউজিক ও কম্পিউটার ক্লাব, গণিত অলিম্পিয়াড ও বিজ্ঞান ক্লাবের মতো কার্যক্রম নিয়মিত অনুশীলন করা হয়। রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ সময়োপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সদা তৎপর। সময় উপযোগীয় নানা সিদ্ধান্তে সৃজনশীলতা, ধৈর্য ও মননশীলতার ফলশ্রæতিতে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই সাফল্য বয়ে এনেছে।</p>