<p>বরগুনার আমতলীতে রোপা আমন ক্ষেতে পোকা- মাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প পাচিং পদ্ধতি ও আলোক ফাঁদের ব্যবহার বেড়েছে। পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব হওয়ায় কৃষকের কাছে পদ্ধতি দুটি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। </p> <p>কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি বছরে আমন ধানের আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ছে ৩৩ হাজার ৪০০ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর বেশী।</p> <p>সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আবাদকৃত আমন ধানের বিভিন্ন জমিতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি (খুটি) মাটিতে পুঁতে রেখে পাচিং পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। যাতে এসব ডালের উপর দোয়েল, ফিঙ্গে, শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি গিয়ে বসে রোপা ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা- মাকড় খেয়ে ফেলতে পারে। </p> <p>অপরদিকে ক্ষেতের পোকা দমনে পাচিং পদ্ধতির পাশাপাশি আলোক ফাঁদ তৈরি করছেন অনেক কৃষক। তারা ধান ক্ষেতের পাশে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের তিনটি খুঁটি ত্রিকোনাকার করে পুঁতে রাখে। ওই খুঁটির মাথায় একটি বাল্ব জ্বালিয়ে রাখে। এই বাল্বের নিচে একটি পাত্রে রাখা হয় কেরোশিন। রাতে আলোতে এসে ওই কেরোসিনে পড়ে মারা যায় পোকা। এ ছাড়া অনেক কৃষক পোকা দমনে হারিকেন বা সৌর বিদ্যুতের বাতি জ্বালিয়েও আলোক ফাঁদ তৈরি করেছেন। </p> <p>উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর, আড়পাঙ্গাশিয়া ও পৌরসভার বিভিন্ন ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি ও আলোক ফাঁদ স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে। উপজেলায় ২২টি ব্লক স্থাপন করে সেখানে ২২০টি আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে এবং ৬০ শতাংশ কৃষক পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। </p> <p>হলদিয়া গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম ও চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের শানু মিয়া বলেন, আমরা এ বছর রোপা আমন ধানক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। স্বল্প খরচে ভালো উপকার দেয়।</p> <p>উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির বলেন, আমরা এ বছর উপজেলায় ২২টি ব্লক স্থাপন করা হয়েছে। ১৫ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এই সব ব্লকের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি ব্লকে ১০টি করে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে।</p> <p>আমতলী উপজলো কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, উপজেলায় ২২০টি আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষক পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।</p>