কৃষকের তরমুজ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

ভাইয়ের নামে অভিযোগ দায়ের
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কৃষকের তরমুজ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

বরগুনার আমতলীতে কৃষক জালাল উদ্দিনের রোপনকৃত ৩৬০টি তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৩ মার্চ) থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী কৃষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা গ্রামের বাসিন্দা তরমুজ চাষী কৃষক জালাল উদ্দিন ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেন।

ওই জমিতে তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা ওই জমিতে রোপনকৃত ৩৬০টি তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলে। শুক্রবার সকালে কৃষক জালাল উদ্দিন ক্ষেতে গিয়ে তার রোপনকৃত তরমুজ গাছ উপড়ে পড়া দেখে ডাক চিৎকার দিয়ে এলাকাবাসীকে দেখায়। দুপুরে সেই উপড়ে ফেলা গাছ নিয়ে আমতলী থানায় এসে আপন ভাই হেলাল উদ্দিনসহ তিন জনের নামে অভিযোগ দাখিল করেন কৃষক জালাল উদ্দিন।

স্থানীয় প্রতিবেশী কৃষকরা জানায়, সকালে কৃষক জালাল উদ্দিনের ডাক চিৎকার শুনে তারা তরমুজ ক্ষেতে গিয়ে তার রোপনকৃত তরমুজের চারা উপড়ে ফেলা দেখতে পায়। তাদের ধারনা রাতের আঁধারে কেউ শত্রুতা করে এ গাছগুলো উপড়ে ফেলেছে।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জালাল উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, আমার ভাই হেলালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমার বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে হেলাল আমার তরমুজ ক্ষেত নষ্ট করে দিবে বলে হুমকি দিয়েছিল।

আমার ক্ষতি করার জন্য হেলাল ও তার দুই পুত্র লিমন এবং শাহীন মিলে ক্ষেতের রোপনকৃত গাছ উপড়ে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে মানুষের ভিড়

সরিষাবাড়ি (জামালপুর) প্রতিনিধি
সরিষাবাড়ি (জামালপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে মানুষের ভিড়
ছবি: কালের কণ্ঠ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দেখতে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ। 

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর ও গোবিন্দপুর গ্রামের ছাত্র সমাজের উদ্যোগে বিস্তীর্ণ মাঠে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৪০টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এ উপলক্ষে এলাকায় বসে গ্রামীণ মেলা। মেলায় হরেক রকমের পণ্য নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা।

ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় চার ক্যাটাগরিতে ৪০টি দৌড়ে ঘোড়া অংশ নেয়। প্রথম রাউন্ডের বাছাই শেষে সেরা ৪টি ঘোড়া নিয়ে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।

চূড়ান্ত লড়াইয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে ময়মনসিংহের সজনুর ঘোড়া। বিজয়ী ঘোড়ার মালিককে একটি ৮০ সিসি হিরো মোটরসাইকেল দেওয়া হয়। দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে একটি ফ্রিজ দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি'র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম।

 

মন্তব্য

১০ দিনে মোংলা বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে ২৮টি

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট প্রতিনিধি
শেয়ার
১০ দিনে মোংলা বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে ২৮টি
ছবি : কালের কণ্ঠ

দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলায় বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে বন্দরে ২৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল নিয়ে দুটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙর করে। বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে ১৮টি জাহাজ অবস্থান করছে।

মোংলা বন্দর সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, ২০২৫ সালের শুরুতে মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্দরে ২৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। বর্তমানে বন্দরের পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে ১৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে।

এসব জাহাজে কয়লা, সার, (জিপসাম, ড্যাপ ফার্টিলাইজার,টিএসপি,এমওপি) ক্লিংকার, এলপিজি এবং পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর ৪১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। এসময়ে ১০ হাজার ৩৮৬টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা হয়। গাড়ি বহনকারী ১০টি জাহাজের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৬৩৭টি গাড়ি আমদানি করা হয়।

এই সময়ে বন্দর দিয়ে ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন আমদানি-রপ্তানি হয়। এই সময়ে বন্দর ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে।

আরো জানানো হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২.৩০ শতাংশ, কার্গো ৯.৭২ শতাংশ, কন্টেইনার ১৬.৭৮ শতাংশ এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

তালায় কেক কেটে কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
শেয়ার
তালায় কেক কেটে কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
আলোচনাসভা শেষে ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

সাতক্ষীরার তালায় কেক কেটে পালিত হয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে তালা প্রেস ক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি মো. রোকনুজ্জামান টিপুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, যুবনেতা ফারুক হোসেন জোয়াদ্দার, বিএমএসএস তালা উপজেলা শাখার সভাপতি নব কুমার দে, মাখফুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট আব্দুর রহিম (অব.), সাংবাদিক আরিফুল হক বুলু, মো. আরিজুল হক, মো. আলমগীর হোসেন, মীর ইমরান মাহমুদ, আতাউর রহমান, সদর ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেনসহ তালায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, “জাতিকে ‘আংশিক নয় পুরো সত্য’ জানানোর অঙ্গীকার নিয়ে ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি দৈনিক কালের কণ্ঠের পথচলা শুরু হয়েছিল। পাঠকের আস্থা ও ভালোবাসায় আজও অব্যাহত রয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তারা।

আলোচনাসভা শেষে ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

মন্তব্য

‘সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও’—প্রতিবাদে বিক্ষোভ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
‘সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও’—প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ছবি : কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরে বাড়ির সামনের দেয়ালে ‘সমন্বয়ক, মৃত্যু জন্য প্রস্তুত হও’লেখার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করেছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) টুমচর ইউনিয়নে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মিছিলটি সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের জনতা বাজার থেকে শুরু হয়ে টুমচর বাজার গিয়ে শেষ হয়। শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্র সমন্বয়ক এম পারভেজ হোসেন ও এম এ আরিফ প্রমুখ।

সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের শিমুলতলী বাজারে একটি দোকানের দেওয়ালে ‘সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও’, লেখা দেখা যায়। এ ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজন ও এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন দেওয়ালে ‘জয় বাংলা, হাসিনা আসবে, মুজিববাদ, ছাত্রলীগ আসবে’ এমন লেখায় ছেয়ে যায়। ওই এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আমির হামজা ও লক্ষ্মীপুরের সমন্বয়ক মো. পারভেজের বাড়ি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ