স্মার্টকার্ড তুলতে গিয়ে শুনলেন তিনি মৃত!

মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
স্মার্টকার্ড তুলতে গিয়ে শুনলেন তিনি মৃত!
মুনছুর আলী।

মুনছুর আলী। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুয়ায়ী তার বয়স ৭১ বছর। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করতে যান। কার্ড হাতে নিয়ে দেখেন, তিনি ‘মৃত’।

এমন তথ্য দেখে নির্বাক হয়ে যান মুনছুর আলী। 

রবিবার দুপুরে আবেগের সঙ্গে এ কথা জানালেন ভুক্তভোগী মুনছুর আলী। তিনি জানান, তিনি বয়স্ক ভাতার টাকা পাবেন। এ কারণে বিকাশ একাউন্ট করতে হবে।

যে কারণে তিনি স্মার্টকার্ড তুলতে গিয়েছিলেন।

মুনছুর আলী গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের রাজাপুর কোদাইলকাটি গ্রামের মৃত মমীন বিশ্বাসের ছেলে। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৫৭১৪৭৬৩৪৫২৩১৭। জন্ম তারিখ- ১৪/০২/১৯৫০ ইং।

তিনি এখনো বেঁচে আছেন। কিন্তু স্মার্টকার্ডের তথ্য বলছে, তিনি মৃত। এর আগে মোহম্মদপুরের আবেদ আলী নামের এক স্কুলশিক্ষকের ক্ষেত্রেও এমন জটিলতা হয়েছিল।

মটমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ জানান, জাতীয় পরিচয় পত্রে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা ব্যক্তি পরিচয় না জেনে নিজের মনগড়া তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন। এমন অনেক ভুল করে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলে তথ্য সরবরাহ করেছেন।

 

গাংনী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, আমি গাংনীতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি এমন জটিলতায় পড়েছি। তবে আবেদন করা হলে সমস্যার সমাধান করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নগরকান্দায় ছাগলের ঘরে তালাবদ্ধ ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধা মা

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
নগরকান্দায় ছাগলের ঘরে তালাবদ্ধ ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধা মা
সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরের নগরকান্দায় সবজান খাতুন নামে ৮০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে ছাগল পালনের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই ছেলে মো. আবুল কালামের। বছরের পর বছর ছাগলের ঘরে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে রবিবার (৯ মার্চ) বিকেলে তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি প্রতিবেশীরা জানতে পারেন। বৃদ্ধা সবজান খাতুন নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া-শহিদনগর ইউনিয়নের দেলবাড়িয়া গ্রামের মৃত হামিদ শেখের স্ত্রী।

প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক বছর ধরে সবজান খাতুনকে ছাগল রাখার ঘরে আটকিয়ে রেখেছেন সন্তান আবুল কালাম ও তার স্ত্রী।

শুধু তাই না, বিভিন্ন সময়ে সবজানকে নানান রকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছেন তারা। এমনকি ঠিকমতো খাবারও দিতেন না। বৃদ্ধা বসয়ে তিনি ওই ঘরেই অবহেলা-অযত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। ওখান থেকে কখনো তাকে বের হতে দিতেন না।
তবে ছাগলের ঘরে থাকতে থাকতে অসহ্য হয়ে পড়েন সবজান। একপর্যায়ে রবিবার বিকেলে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে আনেন। এমন অবস্থায় প্রশাসনকে বৃদ্ধা সবজানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন স্থানীয়রা।

বৃদ্ধা মাকে ছাগলের ঘরে অবরুদ্ধ রাখার বিষয় জানতে চাইলে ছেলে আবুল কালাম বলেন, আমার মাকে আমি যা ইচ্ছা করব তাতে কার কি?

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এই রকম কোনো অন্যায়ের আইনে কোনো সুযোগ নেই। ঘটনাস্থলে আমি নিজে গিয়ে দেখব এবং অসহায় বৃদ্ধাকে সহযোগীতার জন্য যা যা করা দরকার আমি তাই করব। সেই সঙ্গে তার পরিবার থেকে যদি এমন কিছু করা হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযা হবে। এই ধরনের ঘটনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অবহেলা ও নির্যাতনের প্রবণতা আরো বেশি বাড়িয়ে দেয়।

 

মন্তব্য

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটির অবস্থার আরো অবনতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটির অবস্থার আরো অবনতি
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটি গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল পর্যন্ত শিশুটির অবস্থা অস্থিতিশীল ও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে সিএমএইচের চিকিৎসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিশুটির চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
 
সূত্র জানায়, শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদরোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ, থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকরা।

ওই বোর্ডের একজন চিকিত্সক সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির যৌনাঙ্গ ও গলায় বড় ক্ষত রয়েছে। মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে গেছে। বুকের ওপর চাপ দেওয়ার কারণে ফুসফুসের যেসব জায়গায় বাতাস থাকার কথা না, সেসব জায়গায় বাতাস ঢুকে পড়েছে।

শিশুটি এখনো অচেতন। মস্তিষ্কের ক্ষতি কমাতে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। আগে খিঁচুনি হলেও এখন আর হচ্ছে না। তবে রক্তে সংক্রমণ অনেক বেশি।
শিশুটির রক্তচাপ ধরে রাখা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে শিশুটির অবস্থা অস্থিতিশীল ও সংকটাপন্ন। শিশুটির সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এদিকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির নাম-পরিচয়, ছবি-ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজি) সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তোভোগী শিশুটির চিকিত্সা এবং শিশু ও তার বড় বোনের (যার বয়স ১৪) নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করাসহ সার্বিক দেখভালের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 
১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সিএমএইচে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তত্পর রয়েছে। ধর্ষণে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

শিশুটির মা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘স্বামীর অসুস্থতা ও অনটনের কারণে বড় মেয়েকে গত নভেম্বর মাসে বিয়ে দেন। মেয়ের বয়স ১৪ বছর। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। এর পরের মেয়েটির বয়স আট বছর। মেয়ে বোনের বাসায় যেতে চাইছিল না। জোর করে পাঠাইছিলাম। যদি না পাঠাইতাম তাহলে এই অবস্থা হতো না।’

বড় মেয়ে তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আগেও করেছিলেন বলে জানান এই মা। মেয়ের সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চান। ধর্ষকদের যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়, সেটা নিশ্চিত করারও দাবি জানান।

পুলিশ সূত্র জানায়, বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

৯০ দিনে ধর্ষণের বিচার করতে হবে : আইন উপদেষ্টা 
১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গতকাল রবিবার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা কাজ করছি, কিভাবে ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করা যায়। বিচার শেষ না হওয়ার অজুহাতে আসামিকে জামিন দেওয়া যাবে না। প্রশাসনের কোনো গাফিলতি থাকলে শাস্তির সুনির্দিষ্ট বিধান আইনে যুক্ত করা হবে।’

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা জামিন পাবেন না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় ৩০ দিনের পরিবর্তে এখন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে। নারী সহিংসতা প্রতিরোধে এসব সিদ্ধান্তের আলোকে কয়েক দিনের মধ্যেই আইন সংশোধন করা হবে।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে ধর্ষণ মামলায় ডিএনএ সার্টিফিকেট লাগত। অনেক এলাকায় ডিএনএ নেওয়ার সুবিধা নেই। শুধু ভিকটিম না, অভিযুক্তেরও একটি সার্টিফিকেট লাগত। এ জন্য মামলায় দেরি হয়ে যেত, আমরা সংশোধন আনব। শুধু উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করেন, মেডিক্যাল সার্টিফিকেটই যথেষ্ট, তাহলে সে ব্যবস্থা তিনি নিতে পারেন। মাগুরার মতো অনেক ঘটনাতেই আসামিরা হাতেনাতে ধরা পড়ে। এসব ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সময়ক্ষেপণ রোধ করতে এই পরিবর্তনটা আমরা আনার চেষ্টা করছি।’ 

আইন উপদেষ্টা জানান, প্রতিটি জেলায় ডিএনএ ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানি রুখতে একটি হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি আরো বলেন, ‘এটি হবে টোল ফ্রি। এটি তদারকি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ডেডিকেটেড সেল থাকবে। ধর্ষণ মামলার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ও একটি সেল করবে।’

নারীর প্রতি সহিংসতা কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সুবিচার হবে। ধর্ষণ বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আইন সংশোধনের বিষয়টি আলোচনা করেছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে একটা ফল পাওয়া যাবে।’

ধর্ষণে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
গতকাল সিএমএইচে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’ তিনি বলেন, ‘দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তত্পর রয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং ধর্ষণে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।’ 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ যাবত্ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি।’
  
ভুক্তভোগী শিশুর নাম-পরিচয়, ছবি-ভিডিও অপসারণের নির্দেশ আদালতের 
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির নাম-পরিচয়, ছবি-ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজি) সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তোভোগী শিশুটির চিকিত্সা এবং শিশু ও তার বড় বোনের (যার বয়স ১৪) নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করাসহ সার্বিক দেখভালের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর জন্য ঢাকা ও মাগুরা জেলার দুজন সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে।

এসংক্রান্ত এক রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রবিবার রুলসহ এই আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হামিদুল মিজবাহ ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন এই রিট করেন। রিটের পক্ষে তাঁরা নিজেরাই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ এনে শিশুটির মা যে মামলা করেছেন, ওই মামলার তদন্ত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে এবং মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতেও হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান রিট আবেদনকারী দুই আইনজীবী।

আইনজীবী হামিদুল মিজবাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, “রিটের আরজির বাইরেও আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মধ্যে ‘সংবাদমাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা-নিষেধ’সংক্রান্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারার বিধান ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই ধারার বিধান দেশজুড়ে সবাইকে জানানোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।” এসব আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ১৭ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। 

মন্তব্য

বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল বসতঘর ও ৬ ছাগলসহ হাঁস-মুরগি

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল বসতঘর ও ৬ ছাগলসহ হাঁস-মুরগি
ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে পুড়েছে বসতঘর, ছয়টি ছাগল ও হাঁস-মুরগি।

রবিবার (৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড গাজীর পাড়ার খলিল মাস্টার বাড়ির নূর হোসেন বাবুর্চির বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলেন, ঘরে মৃত নূর হোসেন বাবুর্চির স্ত্রী লেদাবুড়ি ও তার দুই ছেলে থাকেন। রবিবার ইফতারের পর তারা কোনো কাজে বের হলে এরমধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ছয়টি কক্ষ বিশিষ্ট বাঁশের বেড়া ও টিনের চালা দেওয়া বসতঘরটি পুড়ে যায় এবং ঘরে থাকা ছয়টি ছাগল ও হাঁস-মুরগি পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।

বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ ফিরোজ খান বলেন, খবর পেয়ে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।

মন্তব্য

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মীকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মীকে হত্যা
ছবি: কালের কণ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় তর্কের জের ধরে অপূর্ব (২৫) নামে এক ছাত্রদলের কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। 

রবিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সম্রাট (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব শহরের মাসদাইর এলাকার খোকনের ছেলে।

সেই সঙ্গে আটক মো. সম্রাট শহরের গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। 

আটক সম্রাট বলেন, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় তারা কয়েকজন আমাকে আটকিয়ে মারধর করে। আমি কিছুই জানি না। একপর্যায়ে আমাকে মেরে নিচে ফেলে দেয়।

এরপর কিভাবে কি হয়, আমি কিছু জানি না। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ হতে ধর্ষণবিরোধী মশাল মিছিল বের করি। আমাদের মিছিল শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা যখন বাসায় যাচ্ছিল তখন বালুরমাঠ এলাকাতে অপূর্বকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

 

তিনি আরো বলেন, অপূর্ব আমাদের ছাত্রদল কর্মী ছিল। ওই সময়ে তাকে ছুরি মারা এক যুবককে আটক করে আশেপাশের লোকজন। সবাই তখন তাকে উত্তম মধ্যম দিচ্ছিল। আমরা আইন নিজের হাতে না তুলে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। পরে আহত অপূর্বকে খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নিহত ব্যক্তি ছাত্রদলের কেউ না। সে এক রেস্তোরাঁয় কাজ করত। মূলত তার সঙ্গে এক গার্মেন্টকর্মীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ