<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভূতবাড়ি গ্রামে শত বছরের পুরনো একটি সরকারি কাঁচা রাস্তা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে এলাকাবাসির  যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত মেঠোপথটি বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবারের মানুষ।</p> <p>সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ভূতবাড়ি গ্রামের শুকুর আলী ও আব্দুল বারিকের বাড়ির মাঝখান দিয়ে সরকারি রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি প্রায় ১০ মিটার প্রস্থ। রাস্তাটি ব্যবহার করে ভাণ্ডাবাড়ি বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থানে আসা-যাওয়া করত এলাকাবাসী। এলাকার কৃষকরা সরকারি রাস্তাটি ব্যবহার করে জমি থেকে সহজে ফসলাদি পরিবহন করতে পারতেন।</p> <p>এ অবস্থায় ভূতবাড়ি গ্রামের শুকুর আলী প্রায় ১০ বছর আগে ও আব্দুল বারিক সম্প্রতি পুরো রাস্তাজুড়ে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এতে রাস্তাটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে  স্থানীয়রা। অবিলম্বে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সড়কটি উন্মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।</p> <p>এ ব্যাপারে ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানে কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অনেক দেনদরবারের পরও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল সরকারি রাস্তার উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে গ্রামবাসীর পক্ষে রতন মিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী  হয়ে তিন দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর  লিখিত অভিযোগ করেছেন।</p> <p>অবৈধ দখলদার শুকুর আলী বলেন, 'দীর্ঘদিন আগে জায়গা না মেপে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছি। তবে বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা ছিল। সেখান দিয়ে লোকজন চলাচল করত। কিন্তু  প্রতিবেশী আব্দুল বারিক বসতবাড়ি নির্মাণ করায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পরিমাপ করে সরকারি রাস্তার জায়গা পেলে আমি ছেড়ে দেব।' </p> <p>অপরদিকে, আব্দুল বারিক বলেন, 'শুকুর আলী সরকারি রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিলে আমিও ছেড়ে দেব।'</p> <p>ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, 'দাপ্তারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগটি তদন্ত করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'   </p>