<p>ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগরে অবস্থিত একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখান থেকে দেশের দূরদূরান্তে যাতায়াত করে থাকে হাজারো যাত্রী। চলাচল করে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা।</p> <p>বাসস্ট্যান্ড এলাকাজুড়ে রয়েছে কয়েকটি বিপণিবিতান। রয়েছে বাংলা ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, পর্যটকদের জন্য জয় রেস্তোঁরা, কুটিরশিল্প মার্কেট, দূরপাল্লা পরিবহনের টিকিট কাউন্টার, তিনটি পেট্রল পাম্প, সেনা অডিটরিয়াম ও সেনা কমপ্লেক্স। পারাপারের জন্য রয়েছে দুটি ওভারব্রিজ। সেনা মার্কেটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কেনাবেচা।</p> <p>প্রতিরাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শতশত যাত্রী ম্যাক্সি, রিকশা ও অটোরিকশাসহ দূরপাল্লা ও লোকাল পরিবহনে যাত্রী ওঠানামা করে এ বাসস্ট্যান্ডে। সব মিলে এটি জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বাসস্ট্যান্ড। এ কারণে বাসস্ট্যান্ড এলাকাজুড়ে জনসাধারণের সুবিধার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে মহাসড়কে দেওয়া হয়েছে সড়কবাতি। কিন্তু তা জ্বলে না। ফলে অন্ধকারে সুযোগ পেয়ে ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘঠিত হয়।</p> <p>ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান বলেন, 'ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কবাতি জ্বলে না দীর্ঘদিন ধরে। এটি সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি ছাড়া কিছুই নয়'।</p> <p>পোশাককর্মী জাহানারা বেগম, তাসলিমা বেগমসহ কয়েকজন পথচারী জানান, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় অন্ধকারের মধ্যে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কবাতি জ্বালানোর দাবি করেন তাঁরা। </p> <p>গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বপাশের ওভারব্রিজ থেকে পশ্চিম অর্থাৎ আরিচার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শেষ গেট ছেড়ে নিরিবিলির নাভানা পেট্রল পাম্প পর্যন্ত ৪০টি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে দুটি করে বাতি। তবে এসব বাতির একটিও জ্বলে না। ফলে অন্ধকারে ঢাকা থাকে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা।</p> <p>নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ দোকানদার মইন মিয়া জানান, প্রায় এক মাস ধরে সড়কবাতি নষ্ট থাকায় অন্ধকার এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।</p> <p>সড়ক ও জনপথ বিভাগের মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস-উল হাসান বলেন, 'নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে সড়কবাতি জ্বলে না- এটি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি'।</p>