ঢাকা, বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫
১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫
১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ রমজান ১৪৪৬

পিতাকে নিয়ে এমপিকন্যার আবেগঘন স্ট্যাটাস

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার

আপনজন হারানোর শোক সহ্য করা অনেক কঠিন। কেউ চান না তার আপনজন হারিয়ে যাক। প্রিয়জন বা আপনজন হারিয়ে কেউ বা শোকে পাথর হন, আবার কেউ সারা জীবন চোখের পানিতে বুক ভাসান। কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ডেপুটি স্পিকার সদ্যঃপ্রয়াত অধ্যাপক মো. আলী আশরাফকে হারিয়ে চোখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছেন তার পরিবার, প্রিয়জন, আস্থাভাজন কর্মীরা।

মনের চাপা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশও করছেন অনেকে।

এরই মধ্যে সোমবার (০২ আগস্ট) দুপুরে সদ্যঃপ্রয়াত বাবাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপির বড় সন্তান আইরিন পারভীন রীনা। কানাডার একটি কলেজে ইংরেজির শিক্ষক তিনি।

তিনি তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘আব্বু, আমি ফোনটা সারাক্ষণ হাতে নিয়ে থাকি তোমার ফোন আসবে এই আশায়।

কত দিন হয়ে গেল তুমি ফোন করো না! ফোনটা করেই তুমি বলবে 'রিন কেমন আছ?' এত সুন্দর করে তুমি আমায় রিন বলে ডাকো! কত দিন তোমার ডাক শুনি না বাবা! পত্রিকা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যখন তোমার নামের আগে মরহুম লেখে অথবা লেখে 'মৃত্যুর সময় ---” আমি 'মরহুম' অথবা 'মৃত্যু'- এই শব্দগুলো তোমার ব্যাপারে লিখলে মানতে পারি না বাবা, কোনোভাবেই মানতে পারি না! আমি ভাবি তুমি চান্দিনায় গেছ, মিটিং অথবা তোমার প্রাণপ্রিয় জনগণের মাঝে ব্যস্ত আছ, তাই আমায় ফোন করতে পারছ না।

বসে বসে তোমার বক্তৃতাগুলো শুনি। তোমার কথাগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনি। কত সুন্দর করে তুমি কথা বলো বাবা!

প্রতিবার নামাজ পড়তে গিয়ে তোমার কবরের ছবিটা আমার চোখে ভেসে ওঠে-- 'আব্বু, তুমি ওখানে কেমন আছ?' চোখের জল বাঁধ মানে না!

রাতে আরামদায়ক বিছানায় শুয়ে মনে হয়, আমার বাবা মাটিতে শুয়ে আছে।

তখন আর শুয়ে থাকতে পারি না, উঠে যাই। বাবা তুমি কেমন আছ? আমি, আমরা কেউ ভালো নেই বাবা, তোমাকে ছাড়া কেউ ভালো নেই!

মনকে বোঝাই, বেহেশতে গিয়ে তোমার সঙ্গে যখন আমার দেখা হবে, ছোট্ট খুকীটির মতো তোমার হাত ধরে বেহেস্তের বাগানে হাঁটব, তখন। রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা’।

এমপিকন্যার এমন আবেগঘন স্ট্যাটাসে অধ্যাপক আলী আশরাফের ভক্ত ও নেতাকর্মীরাও আবেগঘন মন্তব্য করছেন। কেউ বা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পাবনায় ইউএনওর সামনেই ৪ জামায়াত নেতাকে মারধর

    অভিযুক্ত চারজনকে বিএনপির শোকজ
নিজস্ব প্রতিবেদক ও পাবনা প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক ও পাবনা প্রতিনিধি
শেয়ার
পাবনায় ইউএনওর সামনেই ৪ জামায়াত নেতাকে মারধর
প্রতীকী ছবি

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সামনেই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরসহ চার নেতাকে মারধর করেছে বিএনপি নেতারা।

এরপর ‘হাঙ্গামা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে’র অভিযোগে দলের চার নেতাকর্মীকে শোকজ করেছে বিএনপি।

গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামানের কার্যালয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে।

আহত চার জামায়াত নেতা হলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফারুক-ই আজম, সেক্রেটারি টুটুল বিশ্বাস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস এবং সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জামায়াতের এই চার নেতা ইউএনওর অফিসে যান কোনো একটি কাজে। কিন্তু ইউএনও অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা অফিসে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী বালু উত্তোলন বন্ধ করেছেন কেন জানতে ইউএনওর কাছে যান। সেখানে আগে থেকেই বসে থাকা জামায়াত নেতাদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এরা কেন এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে।

এ কথা বলেই বিএনপি নেতারা ইউএনওর কক্ষ থেকে বের হয়েই আরো কয়েকজনকে ডেকে আনেন।

এর পরই বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান, বাবু খাঁ, মানিক খাঁ, আব্দুল বাছেদ, আরিফ শেখসহ ৩০-৪০ জন বিএনপির ক্যাডার ইউএনওর কক্ষে ঢুকে ওই জামায়াত নেতাদের কিল-ঘুষি, লাথিসহ বেধড়ক মারধর করে। পরে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর কয়েক শ নেতাকর্মী ইউএনও অফিসে ছুটে আসেন।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেনদরবার চলে। 

সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস, সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ ও যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যারা আজকের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এসব সন্ত্রাসী আমাদের দলের হতে পারে না। আমরা বলেছি যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে। এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও আলোচনা করা হবে।

উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিন বলেন, ‘সুজানগরে বালু উত্তোলন বন্ধ করায় বিএনপির এসব ক্যাডার ইউএনওকে মারধর ও তুলে আনার জন্য গেছিল।

এ সময় জামায়াত নেতারা বাধা দিলে আমাদের চারজনকে তারা বেধড়ক মারধর করেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা সাংগঠনিকভাবে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান অভিযুক্ত মজিবুর রহমান খান ও মানিক খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু আমার কক্ষে মারধরের ঘটনা ঘটেছে ও সরকারি কাজে বাধা দানের ঘটনা ঘটেছে, কাজেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চার নেতাকে শোকজ 
পাবনার সুজানগরে ইউএনওর কার্যালয়ে প্রবেশ করে ‘হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি করে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে চারজনকে শোকজ করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

শোকজ করা চার নেতা হলেন, উপজেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মজিবর রহমান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু খাঁ, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মানিক খাঁ এবং এন এ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাকিল খান। 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত দুজনের পরিচয় মিলল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত দুজনের পরিচয় মিলল
নিহত নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ ছালেক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় গণপিটুনিতে নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ ছালেক (৩৫) দুজনই জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। স্থানীয় জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেছেন, সালিস বৈঠকের নামে ডেকে নিয়ে তাঁদের দুজন কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের চূড়ামণি গ্রামের ছনখোলা এলাকায় গণপিটুনিতে দুজন নিহত হন। এ সময় গোলাগুলিতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চার-পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেজাম, ছালেকসহ অন্তত ১২ জন যুবক ছনখোলা এলাকায় যান। তাঁরা ওই গ্রামের দোকানের সামনে অটোরিকশা থেকে নামেন।

তখন মসজিদের মাইক থেকে ‘এলাকায় ডাকাত এসেছে’ ঘোষণা শুনে গ্রামের লোকজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। অনেকে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়। তারা নেজামদের ঘিরে ফেললে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। গুলিবর্ষণের মধ্যেই অটোরিকশায় করে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গ্রামবাসী নেজাম ও ছালেককে ধরে বেধড়ক পেটায়।
এতে ঘটনাস্থলেই তাঁরা নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, জামায়াতের সক্রিয় কর্মী নিহত নেজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগের আমলে দীর্ঘ সময় এলাকাছাড়া ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি এলাকায় ফেরেন।

এরপর এলাকায় নেজামের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। তারা একাধিকবার সংঘাতেও জড়িয়েছে। এ ছাড়া নেজাম ও তাঁর পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠতে থাকে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ এবং এলাকাভিত্তিক অপরাধ ও আধিপত্যের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। 

জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোছেন বলেন, নিহতরা জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সালিস বৈঠকের কথা বলে তাঁদের এওচিয়া ইউনিয়নে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দুজনের মাথায় পর্যায়ক্রমে আঘাত করা হয়।

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা বিচারাধীন আর কিছু মামলা তদন্তাধীন। 

মন্তব্য

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলাকারীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলাকারীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগে আটক আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে থানায় অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। ওই আসামিকে পুনরায় আটক না করা পর্যন্ত তারা থানায় অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে তারা থানায় অবস্থান নেন। এর আগে সোমবার রাতে পঞ্চবটি এলাকা থাকে বিচ্ছাদ নামের ওই আসামিকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিচ্ছেদ নগরীর কেদুর মোড় এলাকার সোলেমানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী রাজশাহী ছাত্র আন্দোলনের মহানগরীর মুখপাত্র আরশি হক বলেন, গত ৫ আগস্টে বিচ্ছাদ ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগের দোসর বিচ্ছাদ নিজে সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। আমরা সোমবার রাতে নগরীর পঞ্চবটি এলাকা থেকে তাকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।

কিন্তু মহানগরের বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। তাকে থানায় হাজির না করা পর্যন্ত আমরা থানা থেকে বের হব না।

জানতে চাইলে নগরীর বলিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, বিচ্ছাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না, তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।

 

মন্তব্য

গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সাবেক সেনা সদস্যের

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সাবেক সেনা সদস্যের
সংগৃহীত ছবি

গোপালগঞ্জে নসিমনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেব আলী খন্দকার (৫৫) নামে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক সার্জেন্ট নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাহেব আলী খন্দকার নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার যোগানিয়া গ্রামের মাহবুব আলী খন্দকারের ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে ব্যবসায়ীক কাজে নড়াইলের যোগানিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে ঢাকা যান সাহেব আলী। কাজ শেষে ফেরার পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে পৌঁছালে বিপরীতমুখী দ্রুতগামী একটি নসিমনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ ঘটে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। 

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ