সাভারের আশুলিয়ায় ম্যাগপাই নিটওয়্যার লিমিটেড নামের এক পোশাক কারখানায় ডাকাতি হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) সকালে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ঘোষবাগ এলাকার ওই পোশাক কারখানার ভেতরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, পোশাক কারখানাটির সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা কারখানার প্রহরীদের মারধর করে অস্ত্রের মুখে একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং কারখানার ভেতরে থাকা মূল্যবান মাল লুট করে পালিয়ে যায়।
কারখানাটির নিরাপত্তাকর্মীদের সুপারভাইজার রাজীব বলেন, অস্ত্রধারী ডাকাতদলের সদস্যরা কারখানায় নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, কারখানাটি গত বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় ১৪ মাস ধরে কারখানাটি বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ লাইনও বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সুযোগে ডাকাতরা কারখানায় প্রবেশ করে দুটি কম্পিউটার, আইপিএসের ব্যাটারি, পরিত্যক্ত এয়ার কন্ডিশনার, বৈদ্যুতিক মটর, জেনারেটরের তার লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে শিল্প পুলিশ।
ম্যাগপাই নিটওয়্যার লিমিটেডের এজিএম কায়সার আলী খান বলেন, ‘আমাদের পোশাক কারখানারটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডাকাতরা কারখানায় প্রবেশ করে দারোয়ান ও প্রহরীকে জিম্মি করে ফেলে। পরে তারা সারা রাত ধরে ডাকাতি করে রাত ৩টার দিকে চলে যায়।’
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। রাত ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ৩০-৩৫ জন ডাকাত কারখানায় প্রবেশ করে লুটপাট করে।
কারখানাটি প্রায় ১৪ মাস ধরে বন্ধ। এ ছাড়া কারখানাটিতে শ্রমিকদের কিছু দেনা পাওনার ইস্যুও আছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতে অস্ত্রধারী একদল ডাকাত কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদেরকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মূল্যবান মাল লুট করে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা করে ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারসহ লুণ্ঠিত মাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।