গত শুক্রবার রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা হানিফ আলী ওরফে হানেফ, তার শ্যালক লিটন ও রাইসুল ইসলাম রাজু নামের তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই রাতেই ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। পরে এই হত্যার দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর কালু নামে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের খুদে বার্তা পাঠান।
তবে এ নিয়ে জাসদের পক্ষ থেকে জাসদ গণবাহিনী নামে তাদের কোনো সহযোগী সংগঠন নেই বলে দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে জাসদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি করা হয়।
এদিকে এই খুনের ঘটনার পরের দিন শনিবার রাতে উপজেলার নারায়ণকান্দি বাওড় এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকার মানুষ ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এড়িয়ে চলছেন তারা।
আরো পড়ুন
গ্রেপ্তারের পর কারাগারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিণাকুণ্ডুর নারায়ণকান্দি গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘শনিবার রাত ১০ টার দিকে বাওড় পাড়ে পরপর দুটি গুলির শব্দ হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আরো দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।’
হঠাৎ তিন খুন, গোলাগুলি ও চরমপন্থীদের আনাগোনার খবরে ক্রমেই এলাকা অশান্ত হয়ে উঠছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি কাউকে আটক পর্যন্ত করতে পারেনি পুলিশ।
আরো পড়ুন
‘সরকারের কিছু ব্যক্তির কথাবার্তায় মনে হয় তারা লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্থানীয়দের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা শুনছি। পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে। হত্যাকারীদের সনাক্ত ও তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
’
তিনি আরো বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ চলছে। তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’