<p>পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এবং তাঁর পরিবার সড়ক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এতে তাঁর স্ত্রী (৩২) ও সন্তান (৮ মাস) মৃত্যুবরণ করেছেন। ঐ শিক্ষকের নাম মো. ফিরোজ আলী (৩৫), তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়ীতে নওগাঁ যাওয়ার পথে মান্দা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় শিক্ষকের ৬ মাসের ছেলে মারা যান এবং স্ত্রীকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। একই সময়ে ঐ শিক্ষকের হাত এবং ছয় বছর বয়সী মেয়ের হাত-পা ভেঙে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর স্ত্রী মারা যান। </p> <p>পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল হোসেন জানান, রাজশাহী থেকে নওগাঁ যাওয়ার জন্য ফিরোজ আলী সিএনজি ভাড়া করেন। সকাল সাড়ে দশটার দিকে সিএনজি নওগাঁর মান্দা এলাকায় আসলে একটা পিক-আপ সিএনজিটিকে ধাক্কা দেন। ধাক্কায় সিএনজি উল্টে যায় এবং ঘটনাস্থলে উনার ৬ মাসের ছেলে ফারাবী মারা যান। এছাড়া উনার ৭ বছর বয়সী মেয়ের হাত ও পা ভেঙে যায় এবং ফিরোজ আলীর হাত ভাঙে। এ সময় ফিরোজ আলীর স্ত্রী রেশমা আক্তার (৩২) গুরুতর আহত হলে তাকে সকাল এগারোটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। রাত নয়টার দিকে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তাঁর স্ত্রী রেশমা আক্তার (৩২) মারা যান।</p> <p>এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহউদ্দিন এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।</p>