<p>বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে বিক্ষুব্ধদের দেওয়া আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু। ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে তার স্ত্রী নাজমা বেগম মরদেহ শনাক্ত করেন। সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের সা‌বেক প‌্যা‌নেল মেয়র, ১৯ নম্বর ওয়া‌র্ডের পাঁচবার নির্বা‌চিত কাউ‌ন্সিলর এবং শিক্ষক ছিলেন তিনি।</p> <p>লিটুর ভাই সাংস্কৃতিক সংগঠক নঈমুল হাসান আকাশ সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট সকাল ১১টা পর্যন্ত তার ভাই সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহের সঙ্গে ছিলেন। তার পর থেকেই লিটুর সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শুক্রবার দুপুরের দিকে মর্গের একটি সূত্র তাদেরকে লাশটি দেখে যেতে বলেন। তখন লাশের সঙ্গে মুঠোফোন ছিল। সেটির মাধ্যমেই তারা নিশ্চিত হয়েছেন লাশটি লিটুর। </p> <p>বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ লোকজন। ৫ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় নগরের কালীবাড়ি রোডে সাদিক আবদুল্লাহর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। এতে দোতলা বাসভবনের অনেকাংশ পুড়ে যায়। এ সময় সাদিক আবদুল্লাহ বাড়িতে ছিলেন না।</p> <p>বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দীন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাদিক আবদুল্লাহর বাড়িতে যান তারা। সেখান থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।</p> <p>পুড়ে যাওয়া তিনটি লাশের মধ্যে দুজনের পরিচয় শনাক্ত করেন স্বজনরা। একটি মরদেহ নগরের নাজির মহল্লা এলাকার কাঞ্চন ফরাজির ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নুরুর (৪৫)। আরেকটি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি এলাকার মজিবুর রহমান জমাদ্দারের ছেলে মঈন জমাদ্দারের (৪৫)। তারা দুজনই যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।</p>