<p style="text-align:justify">ফরিদপুর সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে জমির নামজারিতে অতিরিক্ত অর্থ দাবির ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ভূমি অফিস ঘেরাও করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অফিস ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p style="text-align:justify">সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের গোলালচামট মোল্লাবাড়ি সড়কের রাতুল শেখ তার পৈতৃক সম্পত্তির মিউটেশনের (নামজারি) জন্য গত ১৫ দিন আগে একটি আবেদন করেন। তিনি ছাড়াও সদর উপজেলার আলিয়াবাদের লালখাঁর মোড়ের আঁখি বেগম নামে এক নারী মিউটেশনের (নামজারি) আবেদন করেন। এ কাজের জন্য তারা বারবার অফিসে গেলেও অফিসে স্যার নাই বলে ভুক্তভোগীদের পরে আসতে বলা হয়।</p> <p style="text-align:justify">তবে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রাইসুল ইসলামের পিয়ন দাবি করা প্রতিবন্ধী সোহেল শেখ সেবাপ্রত্যাশীদের ১১৭০ (সরকারি ফি) টাকার জায়গায় ১৫০০ টাকা দিলে তিনি কাজটি করে দিতে পারবেন বলে জানায়। সেবাপ্রত্যাশীরা অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় কাজটি হচ্ছে না। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে সেবাপ্রত্যাশীরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফের অফিসে যান। </p> <p style="text-align:justify">এ সময় তারা সার্ভেয়ার রাইসুলকে মোবাইল করে ডেকে আনেন এবং অতিরিক্ত টাকা দাবির বিষয়টি জানতে চান। প্রথমে সোহেলকে চেনেন না বললেও এক পর্যায়ে রাইসুল দাবি করেন, অফিসে লোক কম থাকায় তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে বেতন দিয়ে কিছু কাজকর্ম করানো হয়।</p> <p style="text-align:justify">সেবাপ্রত্যাশী শহরের গোলালচামট মোল্লাবাড়ি সড়কের রাতুল শেখ বলেন, ‘আমার পৈতৃক সম্পত্তির নামজারির জন্য গত ১৫ দিন আগে একটি আবেদন করি। কাজটির জন্য বারবার অফিসে গেলে অফিসে স্যার নাই বলে অফিসে থাকা লোকজন জানান। আজকে (মঙ্গলবার) ভূমি অফিসের পিয়ন দাবিদার প্রতিবন্ধী সোহেল শেখ (২৫) ১৫০০ টাকা চান। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জানালে তারাও আমার সঙ্গে অফিসে আসেন।’ তিনি ভূমি অফিসের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।</p> <p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আবরার নাদিম ইতু বলেন, সরকারি অফিস-আদালত থেকে সব অনিয়ম ও দুর্নীতির অবসান হোক। বিশেষ করে ফরিদপুরের ভূমি অফিসে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ করে আসছিলেন অনেক ভুক্তভোগী। দুর্নীতিবাজ সরকারের পতনের পরে এখনো এসব অফিসে এই চক্র এসব কাজ করে যাচ্ছে ভাবতেই অবাক লাগে।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সম্রাট হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানোর পরে জেলা প্রশাসক বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগটি শুনানি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>