<p>কক্সবাজারের টেকনাফে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ও সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে ৩৩ শতাংশ জমির খোঁজ মিলেছে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকায় মেরিন ড্রাইভের পাশে জমিটি ইটের সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। এই জমির বর্তমান বাজারমূল্য কোটি টাকা বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন।</p> <p>এর আগে কক্সবাজারে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে জমির খোঁজ পেয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।</p> <p>হারুন অর রশীদের নামে জমির খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রশিদ আহমদ এবং ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।</p> <p>ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টেকনাফ মৌজার ৭৪৬৮ নম্বর খতিয়ানের ১০৪৭৫ দাগে ৮ শতাংশ এবং ১০৪৭৩ দাগে ২৫ শতাংশ জমি হারুন অর রশিদের নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি সৃজিত খতিয়ানে হারুন অর রশীদের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদপুরের পশ্চিম আগারগাঁও।</p> <p>ভূমি অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের কাছে জমির বিক্রেতা হলেন টেকনাফের লেঙ্গুরবিলের বাসিন্দা আবদুল হাকিম, সাবরাংয়ের চান্দলীপাড়ার সোনা আলী, হাবিয়া খাতুন ও আবদুস সালাম। মোস্তাক মিয়া নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা এ জমির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন বলে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন।</p> <p>হারুন অর রশীদের অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এ ছাড়া হারুন ও তাঁর স্ত্রী শিরীন আক্তারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।</p> <p>প্রসঙ্গত, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কালের কণ্ঠে প্রকাশের পর দুদকের তদন্তে উখিয়া উপজেলার মেরিন ড্রাইভের পাশে ইনানী এলাকায় এবং টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তাঁর মালিকানাধীন জমির খোঁজ মিলেছিল।</p>