<p>বৃষ্টি ও উজানের পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কবলে পড়া লাকসামে পরিস্থিতি এখনো খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছায়নি। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর গত দুই দিনে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এখনো ত্রাণের সংকট রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণের গাড়ি দেখলেই ছুটে যাচ্ছে দুর্ভোগে থাকা বন্যাপীড়িতরা। </p> <p>বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শিশু খাদ্যের চরম সংকট। এখনো ত্রাণের জন্য চারদিকে মানুষের হাহাকার। বন্যাকবলিত প্রতিটি এলাকায় রয়েছে নৌযানের সংকট। সড়কের পাশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ছাড়া গ্রামগুলোর ভিতর ত্রাণ সামগ্রী ঠিকভাবে পৌঁছে না। ফলে ওইসব পানিবন্দী মানুষেরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।</p> <p>বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিনে উপজেলার বন্যাকবলিত বেতিহাটি, লক্ষীপূর,  গোবিন্দপুর, মোহাম্মদপুর, গাজিরপাড়, মিজিয়াপাড়া, নারায়ণপুর, তারাপাইয়া, আতাকরা, রামারবাগ, ঠেঙ্গারপাড়, দিগধাইর, বরইমুড়ি, রাজাপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এই উপজেলায় এখনো কমপক্ষে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।</p> <p>লাকসাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, , বন্যার্তদের জন্য এই উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ টাকা নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যাহা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। তবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।</p> <p>এদিকে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>তিনি জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ কিছুটা কমলেও তা একেবারে বন্ধ হয়নি। কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।</p> <p>লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আবদুল হাই সিদ্দিকী জানান, গোমতীর পানির প্রবাহের প্রভাব পড়েছিলো লাকসাম এবং পার্শবর্তী মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলায়। তবে এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। ধীরগতিতে হলেও পানি কমতে শুরু করেছে। আল্লাহ্‌ চাহেতো আর বৃষ্টি না হলে  আশা করছি, পানি আরো কমে যাবে।</p>