<p>‘ভালো সরকার থাকলে হয়তো আমরা পদ্মা সেতু অনেক কম ব্যয়ে করতে পারতাম’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে সেতু নির্মাণে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন তিনি। </p> <p>ফাওজুল কবির খান গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া ২-এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন, জালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আমীন ও বিদ্যুত্ বিভাগের সচিব হাবীবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছিলেন সব ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর জন্য।  আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে আনব। একই কাজ কিন্তু কমমূল্যে করব। ফলে একই টাকা দিয়ে আমরা বেশি পরিমাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারব।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় সাশ্রয় করেছি। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে সর্বশেষ প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে এখন চূড়ান্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এখানে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।’</p> <p>তিনি জানান, মূল সেতুতে ৫৩০ কোটি টাকা, নদীশাসনে ৮০ কোটি টাকা, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ায় ১৭৮ কোটি টাকা, মূল্য সংকোচন (প্রাইস কন্টিজেন্সি) ৫০০ কোটি টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ ১০৩ কোটি টাকা, পরামর্শক ২০০ কোটি টাকা ও অন্যান্য ২৪৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।</p>