<p>নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্সে আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রমের অংশ গণশুনানি শুরু হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও নিখোঁজদের স্বজনরা অংশ নেন। তারা নিখোঁজদের নামের তালিকা দিয়ে তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। </p> <p>আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কারখানার প্রধান ফটকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে তা শুরু হয়। এ সময় তদন্ত কমিটির অন্য ৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুনের ঘটনার সাত দিন পরও নিখোঁজদের সন্ধান না মেলায় তাদের স্বজনরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। পরে তদন্ত কমিটির সদস্য, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।</p> <p>তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, গাজী টায়ার কারখানায় ঘটনার দিন কী ঘটেছিল, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে এবং নিখোঁজদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও একাবাসীর দেওয়া জবানবন্দি যাচাই-বাছাই করে সঠিক ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে। </p> <p>তদন্ত কমিটি আরো জানায়, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত গণশুনানিতে নিখোঁজ হওয়া ৭৮ জনের স্বজনরা অংশ নিয়েছেন। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। যতক্ষণ মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত গণশুনানি চলবে। </p> <p>এর আগে গত ২৭ আগস্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদের আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।</p> <p>উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বিকেলে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট শুরু হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কারখানাটিতে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট টানা ২১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ভবন থেকে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ঘটনার পরদিন ১৭৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ১৩৫ জন নিখোঁজের একটি তালিকা করা হয়।</p>