<p>ফরিদপুরের সালথায় অতর্কিত হামলায় আহত ইয়ার আলী শেখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন আসামিপক্ষের লোকজন। আর এই সুযোগে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অন্তত ২০টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p>বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে আসামিপক্ষের বাড়িতে থেমে থেমে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। রাত ১১টা পর্যন্ত হামলা চলছে বলে জানা গেছে।</p> <p>বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বাবু কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোপালিয়া গ্রামের মুদি দোকানি ইয়ার আলী শেখ। ওই দিন রাত ১১টার তার লাশ দাফন করা হয়। এদিকে ইয়ার আলীর মৃত্যুর পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান আসামিপক্ষের লোকজন। </p> <p>এ সুযোগে বাদীপক্ষের সমর্থকরা আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন এনে আসামিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। বুধবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গোপালিয়া গ্রামের সাকেন শেখ, শের আলী, ওমর আলী, ওহিদ শেখ, আক্কাস মোল্যা, হাফিজুর মাস্টার, ফয়েজ শেখ, রাজ্জাক মোল্যা ও ফিরোজ মেম্বরের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় অন্তত ২০টি বসতঘর। আবার ঘরে থাকা মালামাল ও গরু-ছাগলও লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।</p> <p>তিনি বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ভাঙচুর থেকে বিরত থাকে হামলাকারীরা। তবে তারা চলে যাওয়ার পর আবারও ভাঙচুর শুরু করা হয়। এতে বাড়িতে থাকা নারী ও শিশুরা ভয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এমন অবস্থায় গোপালিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রাখা জরুরি।</p> <p>তবে হামলা ও ভাঙচুর করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজ রহমান। বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কোনো হামলা ও ভাঙচুর হচ্ছে না। সব সময় ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। শুধু খাওয়ার সময় পুলিশ থানায় আসেন। আর এই সুযোগে কিছু লোকজন ঘরের টিনের বেড়ায় টুকটাক আঘাত করে পালিয়ে যায়। এলাকা এখন স্বাভাবিক আছে।</p> <p>উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ার আলী শেখের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলায় আহত হয়ে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।</p>