<p>চট্টগ্রামের পটিয়া-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের গতিরোধ ও মারধর করে ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তার সহযোগীকে আসামি করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী।</p> <p>গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল কান্তি দাশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। </p> <p>মামলার আসামিরা হলেন পটিয়া পৌরসভা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মামুন (৩৫) ও তার সহযোগী বিএনপিকর্মী মনির (৩০)। তাদের দুইজনের বাড়ি পটিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাগজীপাড়া এলাকায়। </p> <p>পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল দাশের রিদি গোল্ড ফ্যাশন নামের একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। তাদের দোকানের কারিগর রূপন দাশ গত ২৭ আগস্ট ২১ ক্যারেটের ৬৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পূরবী পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিলেন। পটিয়া-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস ফারুকী পাড়া পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় বাসটির সামনে একটি মোটরসাইকেল ও একটি নোয়াহ এসে বাসটির গতিরোধ করে। এরপর তারা বাসটিতে উঠে পেছনের সিটে বসা ছাত্রলীগকর্মী বলে স্বর্ণ কারিগর রূপন দাশকে টেনে-হিঁচড়ে ও মারধর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলে। তখন বাসটি চলে যায় চট্টগ্রামের দিকে। নামানোর একপর্যায়ে তারা গলায় ছুরি ধরে রুপনকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে ২১ ক্যারেটের ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা সবখানে জানাজানি হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে যুবদল নেতা মামুন ও তার সহযোগী মনিরকে শনাক্ত করে পটিয়া থানা পুলিশ।</p> <p>পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহিম সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় গত বুধবার রাতে মামলা করা হয়েছে। এ মামলাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’ </p> <p>চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি বদরুল খায়ের বলেন, ‘দলের নাম ব্যবহার করে যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চুরি, ছিনতাই ও মানুষের ওপর জুলুম করবে, তাদের স্থান বিএনপিতে নেই। ইতিমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট ভাষায় তা জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীদের। এভাবে যারা বিএনপি, যুবদলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে লিপ্ত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>