<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার তদারক কমিটির আহ্বায়ক ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, যাদের মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন হয়েছে, যাদের স্বজনরা খুন ও গুম হয়েছেন, তারা ক্ষমা না করলে জালিমদের ক্ষমা করার অধিকার কারো নেই। ইসলামের দৃষ্টিতেও মজলুম ক্ষমা না করলে কোনো জালিমকে ক্ষমা করার অধিকার কারোর নেই। এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহও ক্ষমা করবেন না।</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টঙ্গী তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তামীরুল মিল্লাত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. কুরবান আলী, মাদরাসা তদারক কমিটির  সদস্য ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দীন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের অন্য অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।</p> <p style="text-align:justify">সরকারকে উদ্দেশ করে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, যত দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন, ততই নিরাপদ। একটি যৌক্তিক সময়ে আমরা নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। কারা ক্ষমতায় আসবেন, কারা দেশ পরিচালনা করবেন জনগণই তা নির্ধারণ করবেন।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, যারা জালেম, লুটেরা, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, যারা অবৈধ শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দায়ী তাদেরকে কঠিন বিচারের আওতায় আনতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">নায়েবে আমির আরো বলেন, ১৯৪১ সালে আমরা প্রথম স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এরপর একাত্তর সালে দ্বিতীয় এবং চব্বিশ সালে আমরা তৃতীয় বার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এবারের স্বাধীনতা ছিল একটু ভিন্ন রকমের। শিশু ও নারী থেকে শুরু করে সকল বয়স ও শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। সন্তান যখন বেরিয়ে এসেছে তখন মা-বাবারাও তাদের পেছনে রাস্তায় ছুটে এসেছেন। </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘সর্বমহলের অংশগ্রহণে এটি সত্যিকার অর্থেই একটি গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। সকল মানুষের অংশগ্রহণে একটি গণযুদ্ধ, জনযুদ্ধ হয়েছে। আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে যখন গোল-বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তখন মনে হয়েছিল ভিনদেশের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে।’ </p> <p style="text-align:justify">মোহাম্মদ তাহের বলেন, এখনো এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অস্থিরতা দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিজয়ের সুফল আমরা তখনই পাব, যখন জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারব।</p>