<p>প্রতিবছরই গরমের সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। এবারও তীব্র গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গত মাসের শেষের দিকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে গরমের তীব্রতা তুলনামূলক কম ছিল। এর ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপও কম ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে গরমের তীব্রতা বেড়েছে। এর ফলে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপ।<br />  <br /> নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৭ দিনে সর্বমোট ৪৯১ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। এদিকে ১ সেপ্টেম্বর ৬২ জন, ২ সেপ্টেম্বর ৭০ জন, ৩ সেপ্টেম্বর ৫৯ জন, ৪ সেপ্টেম্বর ৬০ জন, ৫ সেপ্টেম্বর ৬৭ জন, ৬ সেপ্টেম্বর ৮০ জন এবং ৭ সেপ্টেম্বর ৯৩ জন অর্থাৎ রেকর্ডসংখ্যাক রোগী ভর্তি হন।<br />  <br /> রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অধিকাংশ রোগীই নারী ও শিশু। পুরুষ রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম রয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের সব ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।<br />   <br /> এ বিষয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ সুলতানা আক্তার বলেন, ‘গরম বাড়ার কারণে প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো রোগীদের সেবা প্রদান করছি। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন ডায়রিয়া রোগী এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে শিশুদের সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি, গরমের তীব্রতা কমে গেলে রোগীর চাপ অনেকটাই কমে আসবে।’  </p> <p>নিতাইগঞ্জ থেকে সেবা নিতে আসা আসমা খাতুন নামের এক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বলেন, ‘গতকাল থেকে আমার এমন অবস্থা হয়েছিল যে মনে হয় আমি আর বাঁচবো না। পরে এখানে ভর্তি হয়ে সেবা নেওয়ার পর এখন অনেকটাই সুস্থ আছি।’</p> <p>নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান বলেন, ‘বছরের এই সময়টায় দিনের বেলা অনেক গরম থাকে আবার রাতের দিকে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। খাবার গরম করে না খাওয়া, বাসী খাবার খাওয়া, ফুটপাতের খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমানে পানি না পান করলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব বিষয়ে যদি সবাই সচেতন হয় তাহলে একজন ব্যক্তির ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। বর্তমানে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়লেও হাসপাতালে যথেষ্ট জনবল রয়েছে। আশা করছি, আগামীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ তেমন বাড়বে না। আর বাড়লেও যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’</p>