<p>হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত ভাষাশহীদ রফিক সেতুর টোল মওকুফের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় ছাত্র-জনতার ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা টোলপ্লাজা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।</p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিন্নাডাঙ্গী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শ্রমিক ও ছাত্র-জনতা। পরে সেতুর টোলপ্লাজায় গিয়ে শেষ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা টোলপ্লাজা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।</p> <p>পরে প্রকৌশলী আবু সায়েমের সভাপতিত্বে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সিঙ্গাইর উপজেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মাসউদুর রহমান আইয়ুবী, নাজমুল হক, হেফাজতে ইসলামের সিংগাইর উপজেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব, ইসলামী আন্দোলন সিংগাইর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী, খেলাফত মজলিশ সিংগাইর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ওমর ফারুক, সেতুর টোল মওকুফ আন্দোলনের সমন্বয়ক রমজান আলী মিজানুর রহমান ও মাহমুদ উল্লাহ প্রমুখ।</p> <p>বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৪ বছর ধরে ভাষাশহীদ রফিক সেতুর টোল আদায় করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের কয়েক গুণ টাকা আদায় করা হয়েছে। এর পরও টোল মওকুফ করা হচ্ছে না। এই টোল আদায়ের কারণে সিংগাইর তথা দক্ষিণ মানিকগঞ্জ আজও অবহেলিত।</p> <p>বক্তারা আরো বলেন, সেতুর টোল মওকুফ করা এখন সিংগাইর তথা মানিকগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি। আজকের পর থেকে আর কখনো সেতুর টোল আদায় করতে দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে টোল মওকুফের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।</p> <p>বিএনপির শাসনামলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৩০৭ মিটার দীর্ঘ ভাষাশহীদ রফিক সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শেষে ২০০০ সালে সেতুর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর থেকে সেতু থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।</p>