<p>নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও অতি বর্ষণের এক মাস পেরিয়ে গেলেও চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলার দুই লাখ ২৬ হাজার পরিবারের সাড়ে ১১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছে। এসব এলাকায় ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষ আশ্রিত হয়ে আছে।</p> <p>বন্যায় জেলার ৮ উপজেলা ও ৭ পৌরসভায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা, খাল দখল ও দূষণ করার পাশাপাশি খাল বন্ধ করে বিভিন্ন মাছের ঘের নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। </p> <p>ফলে পানি যেভাবে নামার কথা সেভাবে না নামার কারণে বন্যা এখন দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিয়েছে। এতে করে এখনো জেলার সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও বেগমগঞ্জে ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩৫ আশ্রিত রয়ে গেছে। তারা কবে নাগাদ বাড়ি ফিরতে পারবে তারা তা জানে না।</p> <p>শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানান, জেলা ৮ উপজেলার সাত পৌরসভার ও ৮৭টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চার উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের দুই লাখ ২৬ হাজার ১৫ পরিবারের ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ জন এখনো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।</p> <p>এর মধ্যে চাটখিলের ১০ ইউনিয়নের দুই লাখ, বেগমগঞ্জের ১৭ ইউনিয়নের চার লাখ ৭০ হাজার ৩০০, সোনাইমুড়ীর ১১ ইউনিয়নের এক লাখ ৭০ হাজার ও সেনবাগের ১০ ইউনিয়নের তিন লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।</p> <p>তিনি আরো জানান, চার উপজেলার ৩৪৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৪৪১ জন আশ্রিত হয়ে আছে। এরমধ্যে, পুরুষ ১১ হাজার ২২০ জন, মহিলা ১২ হাজার ৮৭৫ জন, শিশু ১০ হাজার ৯৫০ জন, প্রতিবন্ধী ৩৯৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়া গরু-মহিষ এক হাজার ৫০০, ছাগল-ভেড়া দুই হাজার ৩৫০টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।</p> <p>নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, আমাদের কাছে এখনো নগদ ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা, সাড়ে ৫১ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য মজুদ রয়েছে।</p>