<p>মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে ঢাকার মুগদা এলাকার কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে বি এম সিরাজুল ইসলামকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। তিনি শ্রীমঙ্গলের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।</p> <p>শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার শহরতলির রাধানগর এলাকার একটি অভিজাত হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মুগদা থানায় নাশকতা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। </p> <p>বিষয়টি নিশ্চত করে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এইচ কে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে ইনফরমেশন ছিল তিনি আজ রাতেই মৌলভীবাজারের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবেন। তিনি মুগদা থানায় এজাহারভুক্ত মামলার আসামি। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মুগদা এলাকায় ছাত্রদের ওপর যে হামলা করা হয়েছিল তিনি ওই হামলায় সরাসরি নেতৃত্বে ছিলেন।’<br />  <br /> তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অভিযানিক দল প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে তাকে আটক করা হয়। এখন তাকে আমাদের স্থানীয় থানায় রাখব। পরবর্তীতে তাকে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করব।’</p> <p>রিসোর্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলাম শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের রিসোর্টে ওঠেন। উনার সাথে আরো ১০-১২ জন আসেন। সবাই এক দিনের জন্য ৪-৫টি রুম বুক করেন।</p> <p>এদিক মুগদা এলাকার বাসিন্দা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বি এম সিরাজুল ইসলাম মুগদা এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার ছিলেন। বিগত সরকারের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর উনি নিজে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করতেন। সরাসরি উনি বিরোধী মতের মানুষদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনের সময়ও তিনি ছাত্রদের ওপর সরাসরি হামলায় জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাকার মুগদা এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর এবং সাবেক ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ছিলেন।</p>