<p>পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় সন্ধ্যা ৬টায় ১৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা জানা গেছে।</p> <p>জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টার দিকে বড়পুকুরিয়ার ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়। এর আগে দীর্ঘদিন থেকে ১ ও ২ নম্বর ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ হওয়ার ফলে পুরো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। এ সময় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল প্রতিশ্রুতি প্রদান করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চীন থেকে যন্ত্রপাতি এনে ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু করবে।</p> <p>১৩ সেপ্টেম্বর বন্ধ থাকার পরে ২ নম্বর ইউনিটের যন্ত্রপাতি খুলে ১ নম্বর ইউনিটটি সচল করতে সক্ষম হয়। তবে এ ইউনিটে ৭০-৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপৎপাদনের দাবি করা হলেও সেখানে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র। ন</p> <p>বড়পুকুরিয়ার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সূত্রটি আরো জানায়, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শনিবার ৩ নম্বর ইউনিটের জন্য ইএসআর পাম্প নিয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছে। রবিবার সকালে বড়পুকুয়িার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটে ইএসআর পাম্পটি সংযোজনের কাজ শুরু করা হয়। বেলা ২টার দিকে এ ইউনিটটি সচল করতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি।</p> <p>বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট মিলে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। ইউনিট ৩টির যন্ত্রপাতি ত্রুটি দেখা দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ে সেগুলো মেরামত করবে অথবা সংযোজন করবে এমন চুক্তি ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকলেও বাস্তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বেহাল দশা লেগেই আছে প্রথম থেকে। ১ ও ২ নম্বর ইউনিটে ১২৫ মেগাওয়াট করে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা। আর ৩ নম্বর ইউনিটে ৩২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা। কিন্তু সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ উপৎপাদন করতে পারেনি এ কেন্দ্রটি। </p> <p>এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়ার ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।</p>