<p>টানা বৃষ্টিতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ থাকায় মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ। </p> <p>আজ সোমাবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। </p> <p>জানা যায়, গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে শহরের শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়ীয়া, আটুয়া চামড়ার আড়ত মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, শালগাড়িয়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, যুগীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন ও রাস্তা উপচে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকায় ড্রেনের নির্মাণকাজ চলায় এর মুখ বন্ধ রয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।</p> <p>জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির বিষয়ে শহরের আটুয়া এলাকার আবুল কালাম বলেন, ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারদের ধীরগতি ও গাফিলতির কারণে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে পানি বের হওয়ার বদলে ড্রেন থেকেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ছে। তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের  দাবি জানান। </p> <p>এদিকে ঘরে জমা হওয়া বৃষ্টির পানি সেচে রাত কাটিয়েছি বলে জানান পাবনার শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়ার বাসিন্দা মুক্তি স্যানাল। </p> <p>পাবনা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার এস এম মাসুদ জানান, পাবনা পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম স্থান দোহারপাড়া ও আরিফপুর সংলগ্ন বুড়িদাহ ব্রিজের নিচ দিয়ে খাল সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি দ্রুতগতিতে বের হতে পারছে না। দ্রুত পানি নিষ্কাশনে শিগগির এই খাল দখলমুক্ত করে প্রসার করতে হবে। </p> <p>ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হাসান রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া ভালো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।</p> <p>পাবনা পৌরসভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফ আহমেদ জানান, গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় পানি আটকে যাওয়ায় জনগণ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পৌরবাসীকে সচেতন হতে হবে। ড্রেনেজব্যবস্থা ব্যাহত হয় এমন কোনো কিছু ড্রেনে না ফেলতে অনুরোধ জানান তিনি।</p>