<p>টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে বিএনপির পরাজিত এক পক্ষের হামলা ও ভাঙচুরে সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে।</p> <p>সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।</p> <p>জানা যায়, ২০০৪ সালের পর থেকে রাজনৈতিক নানা সমীকরণে টঙ্গীতে অবস্থিত গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির নির্বাচন হয় না ১৯ বছর। দীর্ঘদিন পর সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দিনব্যাপী টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় বৃহত্তর নোয়াখালী ভবনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন হারিকেন প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদুজ্জামান শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন খেজুর গাছ প্রতীকের দ্বীন মোহাম্মদ নিল মিয়া।</p> <p>এদিকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে রাত ৯টার দিকে পরাজয় বুঝতে পেরে পরাজিত প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনির হোসেনের নেতৃত্বে সুমন, হৃদয়, মিষ্টার, নান্দু, মাহাবুব আলমসহ অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা রামদা নিয়ে হামলা চালিয়ে সংবাদকর্মী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। <br /> এসময় হীরা, আবুল খায়ের জাহিদ হাসান বাবুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী হামলাকারীরা তাণ্ডব চালানোর পর স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সবাইকে উদ্ধার করে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।</p> <p>নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির (রেজি নং-৪২৬১) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ২৩ পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।  নির্বাচনে মোট ভোটার ৫২৮ জন। এর মধ্যে তিনজন ভোটার ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করায় ৫২৫ ভোটার নিয়ে  অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ভোট দেন ৪৮৬ ভোটার।</p> <p>তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আবুল হাসেম, সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সেলিম হোসেন ও আল আমিন মিয়া।</p> <p>এই নির্বাচনে বিজয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন, সি. সহসভাপতি সোহেল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ হোসাইন, অর্থ সম্পাদক পদে আব্দুল গাফফার সবুজ, দপ্তর সম্পাদক আ. আলিম বাদশা প্রচার সম্পাদক রহমত উল্লাহ। এ ছাড়া অন্যান্য পদ মিলিয়ে মোট ২৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হন।</p> <p>প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল হোসেন জানান, শেষ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। তবে শেষ মুহূর্তে পরাজিত কয়েকজন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ফলাফল বানচাল করার লক্ষ্যে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারপরও আমরা ফলাফল ঘোষণা করেছি।</p>