<p>বাংলাদেশ ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক মো. সাইফুল আলম খান মিলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, স্বৈরাচারী হাসিনার সরকার আমাদের টাকায় অস্ত্র কিনে আমাদের সন্তানদের গুলি করে হত্যা করেছে। তার নির্দেশ মোতাবেক পুলিশ শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ অনেককেই গুলি করে হত্যা করেছে। মুগ্ধ কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মুগ্ধ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি খাওয়াইতেন এটাই ছিল তার অপরাধ।</p> <p>সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষাকে অপশনাল সাবজেক্ট হিসেবে রেখেছে। ইসলামী বিষয় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করেছে। যাতে মানুষ শিক্ষা থেকে দূরে চলে যায় সে ব্যবস্থা করছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিগত দিনে দেশে সাধারণ মুসলমান ও শিক্ষার্থীদের রমজান মাসে ইফতারি করতে বাধা দিত অথচ পূজা করতে সমস্যা ছিল না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করতে হবে। তাহলে দেশের শান্তি ও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবে। আমাদের দেশের মানুষ মদিনার দিকে যেতে চায় অথচ আওয়ামী লীগ ভারত নিয়ে যেতে চায়। মানুষ ইসলামের দিকে আসবে যত দেশে তত শান্তি আসবে সংস্কারে সবাই ব্যস্ত, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা নিজেদের জীবনকে সংস্থার করতে হবে। আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোনআন সুন্নাহর আলোকে নিজেদের জীবনকে পরিচালিত করতে পারলে আজকের সীরাত সফল হবে।</p> <p>সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কদমতলী সারা কমিটি সেন্টারে ঢাকা জেলা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আল্লাহর প্রিয় হাবীব হযরত মোহাম্মদ (সা.) দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যত যুদ্ধ করেছেন তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসলাম। আমরা প্রিয় নবীর উম্মত হয়ে কি দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠায় করতে রাজি আছি। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায় রাষ্ট্রের যে বাহিনী সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি করেছে। আজ সে সকল শহীদ ভাইদের স্মরণ করে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ উপনীত হলেও তার জবাব দিতে পারে। তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে কিছু কিছু রাষ্ট্রে সামরিক ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের সকল সাধারণ মানুষকে সামরিক ট্রেনিংয়ের আওতায় নিতে হবে।</p> <p>প্রধান আলোচক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, সত্যের সাক্ষ্য ছিলেন নবী মোহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) জামায়াতে ইসলামী আমিরে জামায়াত ডা. মো. শফিকুল ইসলামের নির্দেশ হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা ও মন্দির রক্ষায় দৃঢ়তার প্রমাণ করেছেন। নবীর শিক্ষা আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি শেখ হাসিনার আমলে বিশ্ব নবী রাসূলদের ইতিহাস, সাহাবী, খলিফার, মসজিদ মাদরাসার ইতিহাস নেই বলে আমরা অধপতনের পথে চলে যাওয়ায় রাষ্ট্রের ও অধপতন ঘটেছে। আখিরাতের বিশ্বাস থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটিগুলোতে সীরাত না থাকায়<br /> আল্লাহর জমিন থেকে মানবতা শান্তি উঠে গেছে। একমাত্র সত্যের পথে আসুন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই কাজটি আগলে ধরেছে বলে এত জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কোরআন সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হলে পরিবার থেকে সমাজে নিজেদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দিন বলে সবার প্রতি আহবান জানান।</p> <p>ঢাকা জেলা দক্ষিণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে, জেলা সেক্রেটারী এবিএম কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমিরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার।</p> <p>এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মো. শাহিনুর রহমান, ইসলাম ছাত্র শিবিরের ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি মাহবুবর রহমান, ঢাকা জেলা দক্ষিণের সাবেক আমির ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাশেম, মাওলানা মানছুর আহমেদ, শুভাঢ্যা জামে মসজিদ খতিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, জামায়াত নেতা মবিনুল রহমান, ডাক্তার মো. মোবারক, শহিদুর জামান, কবিরুজ্জামানসহ ঢাকা জেলা জামায়াতের থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সিরাত মাহফিল দলে দলে যোগ দেন। </p>