<p>সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। ৬২তম শিক্ষা দিবসের এ সমাবেশে কোটা পুনর্বহালের পাশাপাশি পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং মাতৃভাষায় প্রথমিক শিক্ষা চালুর দাবি জানানো হয়।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি শহরের প্রধান সড়কে মিছিলটি প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগী ছাত্রসংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। </p> <p>সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা, সাধারণ সম্পাদক মরম্রি মারমা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মারমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক উলিচিং মারমা প্রমুখ।</p> <p>পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যার টাকা আছে, সে উন্নত শিক্ষা নিতে পারে। যার টাকা নাই, সে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। সারা দেশের তুলনায় পাহাড়ে শিক্ষাব্যবস্থা আরো বেশি খারাপ। দুর্গম এলাকায় অনেক শিক্ষক ঠিকমতো থাকেন না। অনেক বিদ্যালয়ে বর্গা শিক্ষক রাখার অভিযোগও পাওয়া যায়। এই শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।’</p> <p>পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের পিছিয়ে রাখার জন্য সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কোটা থাকলেও সংস্কারের নামে পরে তা এক শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কেন আমাদের সঙ্গে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করা হলো? আমাদের পূর্বের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। না হলে পাহাড়ের মানুষ সমতলের মানুষের তুলনায় আরো পিছিয়ে যাবে। পাহাড় পিছিয়ে থাকলে দেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না।’</p> <p>তা ছাড়া সমাবেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলায় পৃথক ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে দ্রুত সময়ে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়।</p>