<p style="text-align:justify">নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলন জারি রাখার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘সবাই ধৈর্য ধরুন, সুশৃঙ্খল থাকুন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম জারি রাখুন। যত দিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার ঘোষণা না দেয়, তত দিন এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’ </p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস মোড়ে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্রের শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। </p> <p style="text-align:justify">সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের আহ্বান জানাই, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী সংস্কার সাধন করুন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। তাহলে এ দেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে যে বাংলাদেশ সত্যিই প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন, সব কিছু এমনি এমনি এসেছে, তাহলে এটা ভুল কথা। ৪৮৫ জন শহীদের মধ্যে এ গণ-অভ্যুত্থানে ৪২২ জন শহীদ বিএনপি ও ১১৩ জনের বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী। এ আন্দোলন-সংগ্রামে সাত শর বেশি মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪২৩ জন শুধু বিএনপির নেতাকর্মী। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে প্রায় ২৭০০ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, তার মধ্যে শত শত মানুষ বিএনপির নেতাকর্মী।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘এত রক্ত, ঘাম, প্রাণ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি নতুন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র দিবস। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। কিন্তু গণতন্ত্র, এই নতুন স্বাধীনতা ও বিজয়কে যদি আপনারা অর্থবহ করতে চান, তাহলে ধৈর্য ধরতে হবে। আন্দোলন জারি রাখতে হবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যত দিন পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হবে, তত দিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে এ আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’</p> <p style="text-align:justify">বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যাকারীর আর কোনো দিন জায়গা হবে না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের, গণহত্যাকারীদের কোনো রাজনীতি চলবে না। যদি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি চলে, তাহলে বাংলাদেশ আবার পরাধীন হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের এখানে তাঁবেদারি চলবে না। যদি সত্যিকারভাবে স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, যদি সাম্যভিত্তিক একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান, যদি আইনের শাসনের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান, তাহলে শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের পরস্পরের অধিকারের প্রতি স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ আইনের চেয়ে বড় নয়।</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।</p>