<p>খাগড়াছড়ির পর এবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে আরেক পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও। সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বের হওয়া বিক্ষোভ-মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ করা হয়। এরপর বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও বনরূপা মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কতজন আহত হয়েছেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।</p> <p>আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিল বের হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। </p> <p>জানা যায়, জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে বের হওয়া পাহাড়িদের মিছিলটি বনরূপায় গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ করা হয়। এরপর বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও বনরূপা মসজিদ ভাংচুর করে মিছিলকারীরা। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী প্রচুর বাস-ট্রাক-ট্যাক্সি ভাঙচুর করা হয়। এরপর লাঠিসোঠা হাতে মাঠে নেমে পড়ে বাঙালিরাও। তাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। এতে বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন অন্তত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শহরের হ্যাপি মোড়কে কেন্দ্র করে এর দুই দিকে অবস্থান নেয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা। </p> <p>এদিকে বিক্ষোভকারীদের আগুনের ঘটনায় ফাইবার অপটিকের কেবল পুড়ে যায়। ফলে রাঙামাটি শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। কালের কণ্ঠকে এমনটি জানিয়েছেন ইয়েস নেট-এর পরিচালক মো. শাহীন। তিনি বলেন, পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ফাইবার অপটিকের কেবল পুড়ে যায় এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়। </p> <p>রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতেই বনরূপায় বাঙালিদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়।’</p> <p>পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রাঙামাটিতে সকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল টিম শহরে কাজ শুরু করেছে। <br />  </p>