<p>কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক বিধবা নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও সাত দিনে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।<br />   <br /> ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দৌলখাড় গ্রামে। নির্যাতিত খালেদা বেগম দৌলখাড় গ্রামের প্রয়াত দুলাল মিয়ার স্ত্রী। ঘটনার পর ওই নারীকে প্রথমে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।</p> <p>শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৪ সেপ্টেম্বর বাড়িতে আমি একাই ছিলাম। মেয়েরা ছিল কুমিল্লায়। বাড়ির জয়নাল ফরায়েজি ও তার আত্মীয়স্বজনরা আমাদের গাছের জাম্বুরা ও নারকেল পেড়ে নিচ্ছিল। আমি বাধা না দিয়ে এই দৃশ্য ভিডিও করার চেষ্টা করি। এটি তারা দেখে ফেলে। এরপর জয়নাল ফরায়েজি, তার ভাই মিজান, জামাল, মেয়ের জামাই আবদুল কুদ্দুস, ভাতিজা মেহেদী হাসানসহ আরো অন্তত ১২ জন আমার ওপর হামলা চালায়।’<br />  <br /> তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমে তারা আমাকে তাদের ঘরের সামনে নিয়ে লাঠিপেটা করে। তারা সবাই ছিল সংঘবদ্ধ। আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভয়ে কেউ এগিয়ে আসে না। এক পর্যায়ে তারা আমাকে পুরো উঠানে ছেঁচড়াতে থাকে। পরে ছেঁচড়িয়ে নিয়ে একটি নারকেলগাছের সঙ্গে বাঁধে তারা। গলায় চাকু দিয়ে অসংখ্যবার আঘাত করেন জয়নালের মেয়ের জামাই আবদুল কুদ্দুস। মারার সময় তারা বলতে থাকে, মামলা যখন খাব, একেবারে মেরেই ফেল। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’ </p> <p>তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর মেয়ে ও তার সহপাঠীরা এবং প্রতিবেশীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। ওরা আমার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এখনো মুঠোফোনটি ফেরত দেয়নি তারা।’</p> <p>অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর ১১ বছর ধরে জয়নাল আমাকে নানাভাবে নির্যাতন এবং হয়রানি করছে।’<br />  <br /> অভিযুক্ত জয়নাল ফরায়েজি জানান, ‘আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। শুনেছি, বাড়িতে মহিলা মহিলা ঝগড়া করেছে। ওই নারী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।’ </p> <p>শুক্রবার রাতে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর মেয়ে বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। </p>