<p>অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সীমান্ত এলাকা থেকে কুমিল্লার এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। </p> <p>সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ৬০ বিজিবি, সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার। </p> <p>তিনি জানান, রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সুতারমোড়া নামক স্থানে সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরার সময় ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে বিজিবি। </p> <p>গ্রেপ্তারকৃত ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির (৪৫)। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং ওই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ওরফে টুটুলের চাচাতো ভাই। জহিরুল ইসলাম কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুর এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে। </p> <p>লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, রবিবার রাতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধীনস্থ কাজিয়াতলী বিওপির টহল দল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০২৯/এম হতে আনুমানিক ১৪০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুতারমোড়া নামক স্থানে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল ওই আওয়ামী লীগ নেতা। পরে বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করে।</p> <p>আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভিত্তিহীন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এবং নিজের পরিচয় সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। পরে বিজিবি সদস্যরা তার নিজ এলাকার ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানতে পারেন- তিনি একজন দুষ্কৃতকারী ও আওয়ামী লীগের একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। </p> <p>সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে। </p> <p>বিজিবি কর্তৃক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। </p>