<p>কক্সবাজারের রামুতে আকস্মিক বজ্রপাতে দরিদ্র হতদরিদ্র এক কৃষকের ৪টি গরু মারা গেছে। উপার্জনের একমাত্র সম্বল গরুগুলো হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>গরু হারানো কৃষক শামসুল আলম ওই এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে। জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স জানিয়েছেন- রবিবার রাতে এলাকায় এক পশলা ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাটির ঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে।</p> <p>তিনি জানান, রবিবার মধ্যরাতে আকস্মিক বজ্রপাতে শামসুল আলমের ৪টি গরু মারা গেছে। গরু ৪টির মূল্য আনুমানিক ৩ লাখ টাকা। বিভিন্ন ব্যাংক ও ঋণদান প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে শামসুল আলম এসব গরু লালন-পালন করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করেন। আশা ছিল গরু লালন-পালনে মোটা তাজা এবং দুধ বিক্রি করে নিজে স্বাবলম্বী হবেন। সেই সঙ্গে তিনি ঋণ শোধ করবেন।</p> <p>এখন গরুগুলোকে হারিয়ে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। কৃষক শামসুল আলম জানান, রবিবার রাত ২টার দিকে তিনি গোয়াল ঘরের পাশে টং ঘরে বসে গরু পাহারা দিচ্ছিলেন। এসময় বিকট শব্দে আকস্মিক বজ্রপাতে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। </p> <p>একটু পরে গোয়াল ঘরে তাকাতেই দেখতে পান ৪টি গরু মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে এবং একে একে সবগুলো প্রাণ হারিয়েছে। বেঁচে আছে শুধুমাত্র ৮ দিনের একটি বাছুর। কয়েকটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে এসব গরু লালন-পালন করছেন। এখন সংসার চালানো দূরের কথা, ঋণ পরিশোধ করার মতো সামর্থ্যও তার থাকল না।</p> <p>কৃষক শামসুল আলমের মেয়ে রুমা আকতার জানান, তার বাবা ঋণের টাকায় অনেক কষ্টে গরু লালন-পালন করে সংসার চালায়। তার কোনো ভাই নেই। মা আর ৪ বোনের সংসারে এখন যেন অন্ধকার নেমে এসেছে।</p> <p>রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, দরিদ্র কৃষকদের উপার্জনের একমাত্র সম্বল ৪টি গরু বজ্রপাতে মারা যাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদেরও ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। </p>