<p>রাজধানী ঢাকার পর এবার চাঁদপুরে ইলিশের পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তর। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শহরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে এই অভিযান চালানো হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রুবেল।</p> <p>অভিযানের শুরুতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রথমে নিজেদের পরিচয় গোপন করে ইলিশ ক্রয় করতে ক্রেতা সেজে যান। পরে দাম জিজ্ঞেস করেন এক বিক্রেতার কাছে। ওই বিক্রেতা ১৫০০ টাকা চান। অর্থাৎ কেজিতে বাড়তি ৫০০ টাকা। অথচ আকারে ১ কেজির কম। দাম শুনে ফিরে গিয়ে সদলবলে তারা আবার ফিরে এসে বিক্রেতার কাছে পাকা রসিদ চান। রসিদ দেখাতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়।</p> <p>এ সময় আরো কয়েকটি দোকানে পরিচালনার পর এক পর্যায়ে বাড়তি দাম না নিতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে ক্রয় মূল্যের চেয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।</p> <p>জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এ সময় আরো সহযোগিতা করেন চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিকসহ অন্য নেতারা।</p> <p>এদিকে আজ বুধবার চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি বাজারে আকারভেদে প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রতি কেজি ৯০০ টাকা থেকে ২২৫০ টাকা পর্যন্ত।</p> <p>সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রুবেল বলেন, ‘খুচরা কিংবা পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ইলিশ ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা লাভ করতে মাছ ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’</p> <p>তবে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে এমন সিদ্ধান্তের আগের চেয়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশের দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।</p>