<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় নিজের ১৮ মাস বয়সি শিশু সন্তানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ভিডিও পাঠিয়ে স্বামীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। </p> <p>পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জের ধরে ওই নারী এমন ঘটনা ঘটায়। লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রী বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে ফেলেছেন বলে পুলিশকে জানানো হয়।<br />  <br /> স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কুন্ডা (ইব্রাহিমপুর) গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সরুফা আক্তারের সঙ্গে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বজলা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলের তুষারের বিয়ে হয় প্রায় আড়াই বছর আগে। তাদের সংসারে ফাতেমা আক্তার নামে ১৮ মাস বয়সি শিশু সন্তান রয়েছে।</p> <p>এদিকে সরুফা সঙ্গে তুষার মিয়ার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় সরুফা দীর্ঘদিন যাবত বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ আরো বেড়ে যায়। তবে মোবাইল ফোনে স্বামীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো। </p> <p>২৬ সেপ্টেম্বর থানায় দেওয়া অভিযোগে তুষার উল্লেখ করেন, কিছুদিন যাবত তার স্ত্রী টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। সম্প্রতি দুই লাখ টাকা চায়। এতে অনীহা প্রকাশ করলেন শিশু সন্তানকে হত্যা করে লাশ গুম করা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোরও হুমকি দেয়। </p> <p>তিনি অভিযোগ করেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সরুফা তার মোবাইল ফোন থেকে ইমুতে কল করে এবং একটি ভিডিও পাঠায়। ওই ভিডিতে দেখা যায় তার শিশু সন্তানকে মুখে কালো কাপড় পেঁচিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে। এমন কা- ঘটিয়ে সে টাকাও চায়।</p> <p>নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে সরুফার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত করে জানা যায় বেশ কিছুদিন আগে ভিডিওটি করেন সরুফা। এরপরই স্বামীর কাছে পাঠিয়ে টাকা চান। স্বামী তুষারের অভিযোগ তার স্ত্রী অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখেন। তবে পরে এসে ওই ব্যক্তি জানিয়ে গেছেন বিষয়টি পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে ফেলা হয়েছে।’</p>