<p>ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় হেভি গ্লোবাল কেমিক্যালস ফ্যাক্টরি সরানোর দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।</p> <p>ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত বর্জ্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর সংগঠন ‘সু-সচেতন নাগরিক কমিটি’র ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।  এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সু- নাগরিক কমিটির আহ্বয়ক ওসমান গনি , এসএম রহমতুল্লাহ, ইউসুফ আলী লষ্কর প্রমুখ।</p> <p>মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত দূষিত গ্যাস ও বর্জ্যের ফলে এলাকার ১০টি গ্রামের মানুষ, পশুপাখি, মৎস্য, জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে। অনেকে শ্বাসকষ্ট, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কৃষি ফসল উৎপাদনেও সমস্যা হচ্ছে। কারখানা চালু থাকলে ভবিষ্যতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। এলাকাবাসীর জীবন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য তারা অবিলম্বে ফ্যাক্টরিটি অপসারণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।</p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় এই ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হয়। শুরুতে ওষুধ ফ্যাক্টরির কথা বলে কারখানা চালু করা হলেও পরে সেখানে বিষাক্ত গ্যাস ও এসিড তৈরি করা শুরু হয়। কিছুদিন আগে ফ্যাক্টরির ক্লোরিন গ্যাস পাইপ ছিদ্র হয়ে হাসনাবাদসহ আশপাশের এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে হয়ে ওঠে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গেলে তারাও আক্রান্ত হয়।</p> <p>সূত্র আরো জানায়, এতদিন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী এমপি আমীর হোসেন আমুর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে মালিক সবুর খান কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই অবৈধ ফ্যাক্টরি চালিয়েছেন। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় কিছু দিন বন্ধ রেখেছিলো। কিন্তু এখন আবার চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে এই কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণ করার দাবি জানান।</p> <p>এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি চালানোর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>