<p>বোনের কাছে পাওনা টাকার হিসাব চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে চার দিন পর প্রবাসী সফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তার ভাই-বোনসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী তামান্না বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। সফিকুল ওই গ্রামের কলিম উল্লাহর ছেলে।</p> <p>স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, বিদেশ থাকাকালীন বোন সীমা আক্তারের কাছে টাকা পাঠাতেন সফিকুল। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু দেশে আসার পর দফায় দফায় পাঠানো টাকা হিসেব চেয়ে ব্যর্থ হন সফিকুল। এ নিয়ে কয়েকদফায় সালিশ হয়েছে। তাতেও সমাধান হয়নি। </p> <p>তারা আরো জানায়, বৃহস্পতিবার আবারো টাকার হিসাব চাইতে গেলে সীমা, তার স্বামী ও অন্য ভাইয়েরা মিলে বেধড়ক মারধর করে। কোনো চিকিৎসা না দিয়ে আহত সফিকুলকে সীমা তার শ্বশুরবাড়ি দূর্গাপুরে নিয়ে যান। সেখানে সফিকুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রবিবার সকালে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এক পর্যায়ে পথেই মারা যান সফিকুল। পরে তার মরদেহ গ্রামে এনে তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করেন সীমা আক্তারসহ অন্যরা।</p> <p>রবিবার সন্ধ্যায় মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল হক জানান, সফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- আশিক (২৪), রবি (৪০), আজিজ (২৮),সীমা আক্তার (৩০), রিনা আক্তার (৩৬) ও লিপি আক্তার (৩৫)।</p> <p>তিনি আরো বলেন, আটক হওয়া এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল সোমবার চাঁদপুরের আদালতে পাঠানো হবে। সফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। </p>