<p style="text-align:justify">পুরো নাম বিল্লাল হোসেন সরকার। মুক্তাগাছার লোকজন তাঁকে ডাকতেন বিল্লাল সরকার। কেউ কেউ রসিকতা করে বলতেন মুক্তাগাছার সরকার হচ্ছেন বিল্লাল সরকার। পদে তিনি ছিলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="ডিসি নিয়োগে কেলেঙ্কারি : তদন্ত শুরু করতে পারেননি ৩ উপদেষ্টা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728449153-b3cead7fa94ccdb832884a7b073a1ff7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">ডিসি নিয়োগে কেলেঙ্কারি : তদন্ত শুরু করতে পারেননি ৩ উপদেষ্টা</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/09/1433387" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">তাঁর কথাই ছিল আইন। চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি সব কিছুতেই তিনি ছিলেন আলোচনায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খোদ আওয়ামী লীগও ছিল তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। তাঁর দাপটে প্রশাসনের লোকজনও ছিল অসহায়।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন বিল্লাল। ঘটনাক্রমে ২০০৪ সালে মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ থেকে মুক্তাগাছায় এসে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন কে এম খালিদ বাবু। তিনি মুক্তাগাছার অনেক কিছুই জানতেন না।</p> <p style="text-align:justify">তিনি পুরোপুরি নির্ভর হয়ে পড়েন বিল্লাল সরকারের ওপর। এ সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগান বিল্লাল। টিআর, কাবিখা, ভিজিএফ, ভিজিডি, সরকারি গুদামের ধান-চাল ক্রয়সহ সর্বত্র নিজের ভাগ নিশ্চিত করেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব খাতে চলে ব্যাপক লুটপাট। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় সভাপতি হয়ে এবং পছন্দের লোককে এসব পদে বসিয়ে শুরু করেন ওপেন নিয়োগ বাণিজ্য। অবৈধ আয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বিল্লাল।  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="এখনো ভারতীয় আধিপত্যবাদের পতন হয়নি : মাহমুদুর রহমান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728448546-1fdb99b4b8785490cc6197937e8e942d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">এখনো ভারতীয় আধিপত্যবাদের পতন হয়নি : মাহমুদুর রহমান</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/09/1433383" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">২০১৪ সালে নির্বাচনী জোটের বদৌলতে বিনা ভোটে এমপি হন জাপার সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি। এমপি হয়ে সব পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনিও কাছে টানেন বিল্লালকে। সরকারি সব উন্নয়নকাজের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি/নৈশ প্রহরী নিয়োগ, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য সব কিছুতে ভাগ নেন বিল্লাল। অটোরিকশা, সিএনজি, পালকি সব ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি চলে প্রকাশ্যে।</p> <p style="text-align:justify">অবৈধ টাকা দিয়ে বিল্লাল নিজের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে মুক্তাগাছার আনাচে-কানাচে শতকোটি টাকার জমি কিনেছেন। স্থানীয় পদুরবাড়ি বাজারে সরকার মার্কেট নামে একটি মার্কেট নির্মাণ করেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, বিল্লাল সরকারের জমির দলিল রাখতে মুক্তাগাছা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে আলাদা একটি ভল্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।</p>