<p>ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে শেরপুরের নকলা উপজেলার গৌরদ্ধার ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—</p> <p><strong>ময়মনসিংহ :</strong> হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় পানি নামতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে দুর্গত মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে প্রায় সব এলাকায়ই খাবার ও বিশুদ্ধ  পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রীর পাশাপাশি চিকিত্সা সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বন্যা পরিস্থিতি : নামছে পানি, ভেসে উঠছে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/10/1728536327-316bf9743cca3af27a43b1850f9420b5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বন্যা পরিস্থিতি : নামছে পানি, ভেসে উঠছে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/10/1433726" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ জানান, উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে গেছে। তবে নিচু এলাকাগুলো থেকে পানি ধীরে ধীরে নামছে। </p> <p>ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন জানান, উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে কিছু এলাকা থেকে পানি ধীরে নামছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।</p> <p>ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকায় পানি কমেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে লোকজন বাড়ি ফিরছে। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বন্যা পরিস্থিতি : উজানে পানি কমলেও বেড়েছে ভাটিতে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728444182-029f7f2938a3eeb754daa2ff328faefc.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বন্যা পরিস্থিতি : উজানে পানি কমলেও বেড়েছে ভাটিতে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/09/1433376" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>শেরপুর ও নালিতাবাড়ী :</strong> শেরপুর জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে ঢলের পানি নামায় নকলা উপজেলার গৌরদ্ধার ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার কারণে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোন, চরঅষ্টাধর ও পাঠাকাটা ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চলে বৃহস্পতিবার নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকাগুলোতে খাদ্য ও পানি সরবরাহে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক তরফদার মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যার পানি দ্রুত নামছে। দুর্ভোগে রয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে দুর্ভোগ লাঘবে কাজ চলছে।</p>