<p style="text-align:justify">সরকার এখন পর্যন্ত মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তবে তাদের দোষারোপ করা যাবে না। সরকার ভগ্নস্তূপের মাঝে দায়িত্ব নিয়েছে। প্রশাসন নড়বড়ে, অর্থনীতি নাজুক, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এর ওপর মানুষের পাহাড় সমান প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে।  </p> <p style="text-align:justify">শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাস বাসভবনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">দেশের উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের দলের ইতিহাস আছে, দীর্ঘদিন রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বলে এসেছি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে জাতীয় পার্টি। কিন্তু হঠাৎ করে সংলাপে ডাকা হলো না শাস্তিস্বরূপ এবং সেটিকে ব্যাপকভাবে প্রচারণ করা হচ্ছে। যা আমাদের জন্য বিব্রতকর বলেও মন্তব্য করেন জি এম কাদের।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই বড় পরিচয় : তারেক রহমান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/12/1728745292-da1e6dbeac98c3fd05cb31634ee5da28.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই বড় পরিচয় : তারেক রহমান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/12/1434457" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একমাত্র দল, যারা সন্ত্রাসবাদ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হাট দখল, জমি দখল, অবৈধ ব্যবসা, লুটপাটের সঙ্গে কখনো জড়িত ছিল না। বিএনপির আমলে আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি আর আওয়ামী লীগের আমলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ষড়যন্ত্র মানে দল ভাগ করে দেওয়া, ক্ষমতা অন্যত্র চলে যাওয়া। আওয়ামী লীগ বড় ধরনের দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দলকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল।’</p> <p style="text-align:justify">দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। মানুষ মিল-কারখানা চালাতে পারছে না, উপার্জন কমে যাচ্ছে। সরকারের সামনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা ও বেকারত্ব দূর করা। এর সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা তো কিছুটা আছেই।’ </p> <p style="text-align:justify">জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সব সময় কর্তৃত্বময় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ওপর যে জুলুম করা হচ্ছে, আমরা মজলুম হলে দেশের জনগণ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং আমাদের পক্ষে থাকবে। আমরা সঠিক পথে রয়েছি। আমরা এগুলোকে পাত্তা দিচ্ছি না।’</p> <p style="text-align:justify">এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এইচ এম ইয়াসির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p>