<p>কক্সবাজারের টেকনাফের ‘স্বঘোষিত ইয়াবা কারবারি’র বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবরে এই মামলাটি করা হয়। </p> <p>অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদা এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র। ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০২ জন ব্যক্তি নিজেদের ইয়াবা কারবারি স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ওই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশ প্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারীসহ অনেকের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন জাহাঙ্গীর।</p> <p>মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-৩) মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান  শেষে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। </p> <p>জাহাঙ্গীর ২৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। যাচাইকালে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত দুই কোটি আট লাখ ৪৫ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ মিলেছে। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এই মামলাটি করা হয়।</p> <p>দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবু জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।</p> <p>এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।</p>