<p>‘আমার নামে কার্ড অইছে, কয়েক মাস চাউলও তুলছি। অহন কয় আমি ভুলে নিরুদ্দেশ। আমি তো বাড়িতে থাহি, তা অইলে নিরুদ্দেশ অইলাম কিবায়? সরকারের ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট-সাবেক ভিজিডি) দুই বছর মেয়াদি কার্যক্রমের ২০২৩-২৪ তালিকাভুক্ত  থাকার পরও তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য নারীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিধবা অনুপা বেগম (৪৪) এ প্রতিনিধির সঙ্গে গতকাল শুক্রবার সকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।</p> <p>তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের লংপুর গ্রামের মৃত আহাদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে বিভিন্নজনের কাছে গিয়ে কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদককে কিছু কাগজপত্র দেখান। তাতে দেখা যায়, ওই নারী সরকারের ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট-সাবেক ভিজিডি) দুই বছর মেয়াদি কার্যক্রমের ২০২৩-২৪ তালিকাভুক্ত উপকারভোগী ছিলেন। তালিকার ২৪ নম্বর ক্রমিকে তাঁর নাম রয়েছে। </p> <p>অনুপা আরো জানান, প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় তাঁর নাম কেটে বাদ দিয়ে কার্ডটি রেখে দিয়েছে ইউপি কর্তৃপক্ষ। কী কারণে নাম কাটা হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাননি। </p> <p>অনুপা জানান, তাঁর স্বামী নেই। তিনি একজন দুস্থ নারী। স্বামীর ভিটা ছাড়া তাঁর আর কোনো সম্পদ নেই। তাঁর দুই ছেলে রয়েছে। তাঁরা রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করেন। সরকারি সহায়তা প্রকল্প থেকে নাম বাদ যাওয়ায় তিনি এখন খুবই কষ্টে দিন যাপন করছেন।</p> <p>উপকারভোগীর তালিকা থেকে অনুপাকে বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘যত দূর শুনেছি ওই নারীকে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। তাই মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অনুপার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। এখানে আমার কিছু করার নেই।’ </p> <p>নান্দাইল উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. রাশিদা রহমান বলেন, ‘তাঁর কার্যালয় থেকে অনুপার নাম কর্তন করা হয়নি। এগুলো ইউনিয়ন পরিষদের কাজ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।’ </p> <p>নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভিডব্লিউবি কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘অনুপা বিস্তারিত লিখে আবেদন করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p>