<p style="text-align:justify">যশোরের অভয়নগর উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া এক ঐতিহ্যবাহী নদের নাম ভৈরব। আর এই ভৈরব নদ ঘিরে উপজেলায় গড়ে উঠেছে প্রথম শ্রেণির এক নদীবন্দর, যার নাম হয়েছে নওয়াপাড়া নৌবন্দর। ব্যবসায়ীদের জন্য নদী ও বন্দর আশীর্বাদ হলেও অপরিকল্পিত খননের (ড্রেজিং) কারণে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে দুই গ্রামের শত শত পরিবার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729497084-949badd3dad97d739d3ce3d200406f70.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/10/21/1437508" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">গত ১০ বছরে নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে একটি কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, প্রায় দুই শত ঘরবাড়ি, ২৫ বিঘা কৃষিজমি, অসংখ্য গাছগাছালি ও একটি রাস্তা। এবার নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে একটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ঈদগাহসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শেষ আশ্রয়স্থল। </p> <p style="text-align:justify">বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক ভৈরব নদে অপরিকল্পিত খননের ফলে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছে উপজেলার বাঘুটিয়া ও শুভরাড়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী দুই গ্রামের মানুষ। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও ভাঙন রোধে নেওয়া হয়নি সরকারি কোনো ব্যবস্থা। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে ভাঙনের পরিধি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে ওই দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মসজিদের দেয়াল ভাঙতে গিয়ে ধাওয়া খেলেন রেলের কর্মকর্তারা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729496576-c7dd03d470e5bfd4f548441f0aee614d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মসজিদের দেয়াল ভাঙতে গিয়ে ধাওয়া খেলেন রেলের কর্মকর্তারা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/21/1437504" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">গত রবিবার (২০ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া বাজারসংলগ্ন পাইকপাড়া ভূগিলহাট গ্রামের একটি কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, অসংখ্য ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, গ্রামীণ রাস্তা ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া ভূগিলহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ঈদগাহসহ শতাধিক ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও গাছগাছালি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। নদীর অপর প্রান্তে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক খনন (ড্রেজিং) কার্য অব্যাহত রয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">এ সময় ভূগিলহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. নাঈম সরদার জানান, পাঁচ বছর ধরে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তখন থেকে বর্তমানের ভাঙন অনেক ভয়াবহ। তিন বছর পূর্বে ঈদগাহসংলগ্ন একটি রাস্তা নদীভাঙনে হারিয়ে গেছে। এরপর এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধে বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ভাঙন ঠেকাতে সরকারি উদ্যোগ জরুরি। অন্যথায় অল্প দিনের মধ্যে ঈদগাহ তারপর মসজিদ নদীর ভেতর হারিয়ে যাবে।</p> <p style="text-align:justify">ভূগিলহাট গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছরে বসতবাড়ি ও কৃষিজমি মিলিয়ে প্রায় ১০ বিঘা সম্পত্তি নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ আশ্রয়স্থল। একই অভিযোগ করেন রবিউলের প্রতিবেশী হারান বিশ্বাস, ফাতেমা বেগমসহ অসংখ্য পরিবার। শুভরাড়া ইউনিয়নের শুভরাড়া গ্রামের ইসহাক সরদারের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, পাশাপাশি ১৫টি বসতঘরসহ কয়েকটি আম বাগান ভাঙনের কারণে নদীতে হারিয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে সব হারিয়ে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদপুরে ৫ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ আটক ৬২ জেলে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729497122-1c7e89c3694f352a9c98241cec343367.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদপুরে ৫ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ আটক ৬২ জেলে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/21/1437509" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তৈয়েবুর রহমান বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, ২০০ ঘরবাড়ি, ২৫ বিঘা কৃষিজমি ও গাছগাছালি। নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ধর্মীয় স্থাপনা, বসতবাড়ি ও কৃষিজমি। বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক অপরিকল্পিত নদী খননের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব হারানো পরিবারগুলো সরকারি সহায়তা থেক বঞ্চিত রয়েছে। তাদের সহায়তা প্রয়োজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী খননের বালি বা পলিমাটি বস্তাবন্দি করে ভাঙন রোধে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি। </p> <p style="text-align:justify">শুভরাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ভাঙন ঠেকাতে সরকারকে স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে দুই গ্রামের মানুষ রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হবে। </p> <p style="text-align:justify">অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ‘নতুন যোগদান করেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ </p> <p style="text-align:justify">নওয়াপাড়া নৌবন্দরের উপপরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করা হচ্ছে না। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ চলছে। অভয়নগরের পাইকপাড়া ভূগিলহাট ও শুভরাড়া গ্রামের ভাঙনকবলিত মানুষের অনুরোধে নদীর অপর প্রান্তে খননের কাজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে খননের বালি বা পলিমাটি ভাঙন রোধে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে থাকে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্রেমের দায়ে কিশোরকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল মেয়ের পরিবার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729496331-9bf4989c13221da464270f151d4201b2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্রেমের দায়ে কিশোরকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল মেয়ের পরিবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/21/1437503" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী নদী খননের কাজ করলে ফলাফল ভালো হতো। ভৈরব নদে ভাঙনের বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। যত দ্রুত সম্ভব ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’</p>