<p>বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক জীবনানন্দের ৭০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)। তিনি ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ-ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমানে বাংলাদেশ) অন্তর্গত বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ) পরগনার কুমারভোগ নামক স্থানে ‘গাওপারা’ গ্রামের নিবাসী ছিলেন।</p> <p>কবি জীবনানন্দ দাশের ৭০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়ো‌জিত এক সভায় তার পৈতৃক ভিটা উদ্ধারের পাশাপা‌শি সেখা‌নে কবির নামের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন বরিশালের কবি ও সংস্কৃতি কর্মীরা। জীবনানন্দ দাশ সড়ক এলাকায় কবির পৈতৃক ভিটার একাংশে নির্মিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তন ও লাইব্রেরিতে আজ মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় এ দাবি জানান তারা।</p> <p>জাতীয় কবিতা পরিষদ বরিশাল শাখা এবং প্রগতি লেখক সংঘ আয়োজিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণ অনুষ্ঠান মালায় কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয়। প‌রে কবির কবিতা পাঠ, স্বরচিত কবিতা পাঠ, কবির কবিতা নিয়ে গান ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। </p> <figure class="image" style="float:left"><img alt="জীবনানন্দ" height="274" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nahid/Untitled-20a.jpg" width="456" /> <figcaption>কবি জীবনানন্দ দাশের ৭০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়ো‌জিত সভা</figcaption> </figure> <p>সভায় বক্তারা বলেন, কবি জীবনানন্দ দাশ ৭০ বছর আগে ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, কবি জীবনানন্দ দাশ আলোচনা ও স্মরণে আরো আমাদের কাছে উপস্থিত হচ্ছেন। এখানেই কবির পৈতৃক ভিটা সর্বানন্দ ভবন ছিল, যার একাংশে একটি অসম্পূর্ণ লাইব্রেরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কখনোই পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেনি। আমরা দাবি জানাই ,সরকার কবির নামে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে, আর সেটি এই সর্বানন্দ ভবন ঘিরেই হওয়া উচিত।</p> <p>জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি তপঙ্কর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তরা বরিশালসহ সারা পৃথিবীতে কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ সংরক্ষণের দাবি জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন ক‌বি আসমা চৌধুরী, কাজী সেলিনা, হাসিনা বেগম, অপূর্ব গৌতম, সুভাষ চন্দ্র দাস, শোভন কর্মকার, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।</p>