<p>রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় যৌনকর্মী সুমি ওরফে মিতা (২৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ নিহতের লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে তারা।</p> <p>গ্রেপ্তাররা হলেন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার পাইকশা মাঝাইল গ্রামের আমদ সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের (২৪), একই উপজেলার নিচুনপুর গ্রামের মো. জয়নাল শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২০) ও একই উপজেলার পাইকশা মাঝাইল গ্রামের মাজহারুল শেখের ছেলে মো. মুরাদ শেখ (২২)। কাদেরকে ঢাকা মেট্রোর সূত্রাপুর থেকে এবং রাসেল ও মুরাদকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া বিশমাইল হতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন বলেন, মিতা ঢাকা জেলার দোহার থানার নারিশা চৈতাবাতর গ্রামের মৃত কাদের ফকিরের মেয়ে। তিনি পাঁচ মাস ধরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে তিনটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ৭ অক্টোবর রাতে তিনজন অজ্ঞাত যুবক তার রুমে থাকেন। পরের দিন সকালে মিতার হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। </p> <p>হত্যার ধরন উল্লেখ করে শামিমা পারভীন বলেন, তাকে হাত-পা বেঁধে গামছা দিয়ে শ্বাস রোধ হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ক্লুলেস ওই হত্যা মামলার রহস্য মাত্র ১৪ দিনে উদঘাটন করা হয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছিল।</p> <p>সেইসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মুকিত সরকারের তদারকি ও অভিযান পরিকল্পনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষের নেতৃত্বে এসআই মো. সেলিম মোল্লা ও সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে সোমবার আসামিদের গ্রেপ্তার করে। </p> <p>মুরাদের কাছ থেকে মিতার ব্যবহৃত হাতের ব্রেসলেট ও একটি টিকলি, কাদেরের কাছ থেকে মিতার ব্যবহৃত হাতের আরেকটি ব্রেসলেট এবং লুণ্ঠিত ১৪ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এক হাজার ৬৫৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আসামিদের ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়। তবে মিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি যাওয়ার সময় যমুনা নদীতে ফেলে দিয়ে যায় আসামিরা। </p> <p>তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারদের মঙ্গলবার বিকালে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মুকিত সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। </p>