<p>কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে খালপাড়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় আইরিন আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই গৃহবধূ ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে এলাকায় প্রচার করতে থাকেন তার স্বামী। </p> <p>পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে হত্যা করে তাদের বাড়ি সংলগ্ন খালপাড়ে মাটিচাপা দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক থাকলেও শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। </p> <p>রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের বাইশগাঁও গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদনা খালেরপাড়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় পুলিশ অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহবধূ আইরিন আক্তারের স্বামী সেলিম মিয়া তার পরিবারসহ খালপাড়ের নতুন বাড়িতে থাকতেন। তাদের মূল বাড়ি উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের মড়হ গ্রামে।</p> <p>আইরিন উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তার তিন বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। প্রায় ৯ বছর আগে সেলিমের সঙ্গে বিয়ে হয় আইরিনের।</p> <p>রবিবার রাতে মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে  ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।</p> <p>নিহত আইরিনের মা ছায়েরা খাতুন জানান, নিখোঁজের আগের দিন ২০ অক্টোবর বিকেলে মেয়ের বাড়ি থেকে আসেন তিনি। ২১ অক্টোবর সকালে মেয়ের জামাই সেলিম মোবাইল ফোনে কল করে জানায় আইরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর একইদিন (২১ অক্টোবর) থানায় গিয়ে মেয়েকে খুঁজে পেতে একটি সাধারণ ডায়েরি করি। কিন্তু বুঝতে পারিনি তারা আমার মেয়েটাকে খুন করে মাটিচাপা দিয়েছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দুপুরে বাইশগাঁও গ্রামে সেলিমের নতুন বাড়ি সংলগ্ন নদনা খালেরপাড়ে দুর্গন্ধ থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশের বিষয়টি টের পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে এদিন বিকেলে ওড়না দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা লাশের সন্ধান পাওয়ার পরপরই এলাকা থেকে গাঢাকা দেন সেলিম। যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।</p>