<p>সুনামগঞ্জ জেলা সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে পাথর ও বালুখেকো চক্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দিনে-রাতে নদীর তীর কেটে ও ড্রেজার চালিয়ে শতকোটি টাকার বালু ও পাথর লুটপাটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামকে। তাকে সহযোগিতা করছেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া নদীর শীর্ষ অবৈধ বালু উত্তোলনকারী বাবুল মিয়া (৪৫)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>গতকাল রবিবার (২৭ অক্টোবর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জাকির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদপুরে তৈরি পোশাকের শোরুমে আগুন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730092934-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদপুরে তৈরি পোশাকের শোরুমে আগুন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/28/1440008" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জেলার সচেতন মহল ও নদীর দুই তীরের ক্ষতি মানুষের দাবি, গত তিন বছরের ব্যবধানে এই ছোট নদী এখন সাগরে পরিণত হয়েছে। শুধু পুলিশ সদস্যরাই তো দোষী না, মূল দোষী বালু ও পাথরখেকো চক্র ও তাদের মদদদাতারা। তাদেরও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তারা এই অনিয়ম না করলে ধোপাজান চলতি নদীতে এমনটা হতো না। তাদের কঠোরভাবে দমনের জন্য সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানের কাছে দাবি জানান তারা।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধোপাজান চলতি নদীতে শতকোটি টাকার বালু ও পাথর লুটপাটে সহযোগিতা, আর্থিক সুবিধা নিয়ে বালুবোঝাই নৌকা ছেড়ে দেওয়া, লুটপাটে উৎসাহিত করার দায়ে চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ডিবির ওসি আমিনুল ইসলামকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পার্বত্য অঞ্চলে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি গতকাল রবিবার পর্যন্ত সেখানে যোগদান করেননি। নদীতে দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ওয়াসিম ও সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) ওয়ালি আশরাফকে দুর্গম থানা শাল্লায় বদলি করেছেন। এসআই রাব্বির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। এই চারজনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) অভিযুক্তদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে রাজধানীতে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730092538-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে রাজধানীতে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/28/1440006" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ডিবির বদলি হওয়া ওসি আমিনুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে গত শুক্রবার লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে কেন পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে তা ঊর্ধ্বতনরাই ভালো বলতে পারবেন।’ শাস্তিমূলক বদলি হওয়া অন্য কর্মকর্তারাও তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানান এই ডিবি কর্মকর্তা।</p> <p>তদন্ত কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি কাজ করছি। তদন্ত চলাকালে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’</p> <p>গণমাধ্যমে ধোপাজান নদীর বালু-পাথর লুটপাটে পুলিশের সম্পৃক্ততা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে সরজমিনে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের বালুখেকোরা জানায়, এসআই রাব্বি ও ওসি তদন্ত ওয়ালি আশরাফসহ ডিবি পুলিশকে নৌকা বেরোনোর আগে ফোন দিয়ে চুক্তি করতেন। তারা নৌকার নাম ও সুকানির নাম এবং ফোন নম্বর পাঠাতেন। বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেড বা নৌকা চলতি নদীর মুখ পার হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পুলিশের টাকা শহরে গিয়ে নগদে পরিশোধ করতেন। শহরের লঞ্চঘাটে কিংবা থানার আশপাশে গিয়ে নৌকাপ্রতি হিসাব করে টাকা দিয়ে আসতেন বলেও জানিয়েছেন বালুখেকোরা। যা অনেক গণমাধ্যমে এসেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730095888-949badd3dad97d739d3ce3d200406f70.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/28/1440018" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গতকাল রবিবার সুনামগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধোপাজান নদীর শীর্ষ অবৈধ বালু উত্তোলনকারী বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। সদর থানাধীন সিঙ্গার শোরুমের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।</p> <p>বাবুল মিয়ার বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন ভাদেরটেক (মনিপুরীহাটি) গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।</p> <p>এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাবুল মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারী ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং হামলাকারীদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বদা অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ডিকোরেহেন্স" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730095537-3fb2db6cccf4a23383383394b28b2b31.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ডিকোরেহেন্স</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440015" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকির হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক।</p>